রাঙা প্রভাত ডেস্কঃ চীনের বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে চীনা অস্ত্র বিশেষ করে চীনের তৈরি জে-২০ স্টেলথ জেট-এর সঙ্গে ভারতের ব্যবহৃত রাশিয়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের কোনো ধরনের তুলনা চলে না। ভারতের ব্যবহার করা ফ্রান্স বা রাশিয়ান জেটের চেয়ে ১০ বছর এগিয়ে আছে চীনা জেট।
চীনের রাষ্ট্র পরিচলিত এ নিয়ে ভারতকে উপহাস করে এবং দাবি করে যে তাদের নিজস্ব তৈরি অস্ত্রগুলো আমদানি করা অস্ত্রের চেয়েও ভালো।
ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে চিনুক ও অ্যাপাচি হেলিকপ্টার কেনার পর থেকে চীনা বিশেষজ্ঞরা ভারতীয় বিমানবাহিনীর উপর নজর রাখছে। যুদ্ধক্ষেত্রে ভারি কামান বয়ে নিয়ে যেতে চিনুক ও ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের জন্য অ্যাপাচি কেনে ভারত।
ভারতের চেয়ে চীনা অস্ত্রের শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরতে গিয়ে লিখেছে : চীনের সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে চীনের তৈরি পিসিএল-১৮১ ও পিএলজেড-০৫ সেল্ফ প্রপেলড কামান, জেড-১০ অ্যাটাক হেলিকপ্টার, টাইপ-১৫ ও টাইপ ৯৯এ ট্যাঙ্কের সঙ্গে ভারতের আমদানি করা অস্ত্রের কোনো তুলনা চলে না। কারণ চীনের অস্ত্রগুলো ফায়ার পাওয়ার, মবিলিটি ও ট্যাকটিকস-এর দিকে দিয়ে অনেক শ্রেষ্ঠ এবং উচ্চ ভূমিতেও এগুলো একইভাবে কার্যকর।
তবে ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে ভারতকে মূল হুমকি বিবেচনা করে কখনোই চীনা বিমানবাহিনীকে গড়ে তোলা হয়নি।
ভারতীয় লেখক অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার অমিত রঞ্জন গিরির মতে : চীনের বিমানঘাঁটিগুলো চীনের ভূখণ্ডের এত ভেতরে যে সেগুলো ভারতে হামলা চালানোর জন্য নির্মাণ করা হয়েছে একটি আক্রান্ত হলে আরেকটি তার প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসবে না— যেমন সুবিধা ভারতীয় ঘাঁটিগুলোর রয়েছে। হুতান থেকে কাছাকাছি ঘাঁটি কাশগরের দূরত্ব প্রায় ৫০০ কিলোমিটার, যা সহায়তা করার জন্য অনেক বেশি দূরত্বে অবস্থিত।
চীনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে তাদের জে-১০সি ও জে-১৬ জঙ্গিবিমানগুলো রাশিয়ার তৈরি মিগ-২৯, সু-৩০, ফ্রান্সের তৈরি মিরেজ ২০০০ ও অ্যাংলো–ফ্রান্স জাগুয়ার এয়ারক্রাফটের চেয়েও উন্নত।
চীনা বিশেষজ্ঞদের মতে, জে-২০ স্টেলথ ফাইটার জেট ভারতীয়গুলোর তুলনায় এক প্রজন্ম এগিয়ে এবং কোনোভাবেই এই শূন্যস্থান পূরণ করা যাবে না।
চীন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজস্ব তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করে। তারা ভারতের আমদানি করা অস্ত্রের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। চীনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ভারতীয় সেনারা সারা দুনিয়া থেকে কেনা অস্ত্র ব্যবহার করে। এর মানে এগুলোর লজিস্টিক্যাল সাপোর্ট খরচ অনেক বেশি এবং সিস্টেমগুলোর মধ্যে কোনো সামঞ্জস্য নেই। আর এখানেই এগিয়ে থাকবে চীন।
সূত্র : ইউশিয়ান টাইমস