রাঙা প্রভাত ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক দপ্তরের প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, গাজার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে এখন ভয়ঙ্কর রকমের সব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। যা দিয়ে তারা চাইলেই ইসরায়েলের তেল আবিব ও এর থেকেও অনেক দূরবর্তী স্থানে আঘাত হানতে পারে।
রবিবার ৬ সেপ্টেম্বর লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির ‘আইন আল হিলওয়া’ পরিদর্শনের সময় তিনি এসব কথা বলেন। এবার মূলত ফিলিস্তিনি সংগ্রামীদের সক্ষমতার ওপর গুরুত্বারোপ করলেন হামাস প্রধান।
হানিয়া বলেছেন, আমি লেবাননের শরণার্থী শিবিরে উপস্থিত হতে পেরে ভীষণ সম্মানিত অনুভব করছি। কেননা ফিলিস্তিনের এই শরণার্থী শিবিরগুলো হচ্ছে প্রতিরোধ ও দৃঢ়তার প্রতীক। এসব শিবিরেই বড় বড় ঘটনার উৎপত্তি ঘটে, আর এখানেই বড় বড় বীরের জন্ম হয়।
হামাস নেতা আরও বলেন, সব ফিলিস্তিনি শরণার্থীর তাদের নিজ ভূখণ্ডে ফিরে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। এই অধিকারের বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি কেড়ে নিয়ে তাদের শরণার্থীতে পরিণত করা একটি ঐতিহাসিক জুলুম।
দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে কোনো কোনো দেশের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, মুসলিম জাতির দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে এসব দেশের পদক্ষেপের কোনো সম্পর্ক নেই। মুসলিম জনগণের হৃদয়ে এখনো ফিলিস্তিন ইস্যু সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে বলে দাবি তার।
দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের জোর করে তাদের ঘরবাড়ি থেকে বের দিয়ে সেখানে নিজেদের জন্য বসতি স্থাপন করেছে। আর ঘরহারা ফিলিস্তিনিরা প্রতিবেশী দেশগুলোতে গিয়ে শরণার্থী হিসেবে জীবনযাপন করছে। লেবাননের আইন আল হিলওয়া হচ্ছে এ ধরণেরই একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির।