বিশেষ প্রতিনিধিঃ অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এ আদেশ দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বরখাস্ত হওয়া ইউপি সদস্যরা হলেন ফকিরহাট উপজেলার লখপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫, ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য তাসলিমা লতা, নলধা-মৌভোগ ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য সরদার আলতাফ হোসেন, ফকিরহাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য আ. জব্বার, পিলজংগ ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোস্তফা কামাল হারুন এবং একই ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য সাধন কুমার দে।
মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মাদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী পৃথক পৃথকভাবে এদের বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য তাসলিমা লতার বিরুদ্ধে তার মায়ের নামে দুটি বিধবা ভাতার বই ইস্যু করে দীর্ঘদিন ধরে অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রশাসকের সুপারিশ অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পিলজংগ ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোস্তফা কামাল হারুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাতার কার্ড দেওয়ার নাম করে অর্থ আদায়, ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ও জন্মনিবন্ধন করে দেওয়ার নামে সেবা গ্রহিতাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রশাসকের সুপারিশ অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
নলধা-মৌভোগ ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য সরদার আলতাফ হোসেন, ফকিরহাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য আ. জব্বার ও পিলজংগ ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য সাধন কুমার দের বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দকৃত গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য সরকার নির্ধারিত সহায়ক চাঁদার অতিরিক্ত গ্রহনের অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রশাসকের সুপারিশ অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে কেন চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হবে না, এ জন্য কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর রহমান বলেন, ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন-২০০৯ অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের সুপারিশ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় পাঁচ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। কেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হবে না, এই মর্মে দশ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।