পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার দুলাই গ্রামে রয়েছে এক মুসলিম জমিদার বাড়ি। যা এখনো ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে। এই জমিদার বাড়িটি এখন আজিম চৌধুরী জমিদার বাড়ি নামেই বেশ পরিচিতি।
সুজানগর উপজেলার দুলাই গ্রামে প্রায় ২৫০ বৎসর আগে এই জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন একজন মুসলিম। জমিদার আজিম চৌধুরীর নামে জমিদার বাড়িটির নাম হলেও এই জমিদার বাড়িটির মূল গোড়াপত্তনকারী হচ্ছেন জমিদার আজিম চৌধুরীর পিতা রহিম উদ্দিন চৌধুরী। তিনিই এই বংশের প্রতিষ্ঠাতা।
জমিদার বাড়িটি আজিম চৌধুরীর নামে হওয়ার কারণ হল- তিনি যখন এই জমিদার বাড়ির জমিদারি পান তখনই এই জমিদার বাড়িটি বিস্তার লাভ করে। তিনি তার জমিদারির সময় ৩টি নীল কুঠি স্থাপন করেন দুলাই গ্রামে। এই জমিদার বাড়িটি একটি দু’তলা বিশিষ্ট প্রাসাদ। এটিতে অনেক দরজা ও এগারটি গেট রয়েছে। একটি বিশাল দীঘি, জমিদার বাড়ির বাহিরে একটি পুকুর ও অন্দরমহলে একটি পুকুর রয়েছে। জমিদার বাড়িটির নিরাপত্তা রক্ষার জন্য দুটি হাতি ও কামান ছিল।
বর্তমানে এই জমিদার বাড়িটি প্রায় ধ্বংসের মুখে। যদিও তা বর্তমানে এই জমিদার বাড়ির বংশধররা রক্ষণাবেক্ষণ করতেছেন। আসলে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর এটি আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পরে।পরে এই জমিদার বাড়ির বংশধররা দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই জমিদার বাড়িটি ১৯৯৪ সালে ফিরে পান। এবং তারপর থেকেই তারা এই জমিদার বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন।
তথ্যসংগ্রহঃ বিধান চ্ন্দ্র ঘোষ
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার
সুজানগর, পাবনা।