বিশেষ প্রতিনিধি: উন্নয়ন সমন্বয় সভায় পাবনার বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থার ব্যাখ্যা তুলে ধরেন বহিষ্কৃত পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন
বুধবার ১৪ অক্টোবর দুপুরে বেড়া পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল বাতেন বলেন, গত ১২ অক্টোবর উপজেলা সমন্বয় সভায় ইউএনওকে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ হয়েছে তা সঠিক নয়।
সেদিন আমি শুধু উপজেলার উন্নয়নে ঘাট ইজারার টাকা নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা পরিষদে দেওয়ার কথা বলেছিলাম। ইউএনওকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি। জেলা প্রশাসক বা ইউএনও কারো সঙ্গে আমার সম্পর্কের অবনতি হয়নি। এ বিষয়টি ইস্যু করে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।
আমি শুধু স্থানীয় সরকারের দেওয়া ইজারা আইন অনুযায়ী নগরবাড়ি ও কাজিরহাট ঘাটের ইজারার টাকা প্রাপ্তির বিষয়ে কথা বলেছি। আইনের বাইরে আমি কোনো কথা বলিনি। আমাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা তদন্ত করে দেখুক সেদিন কি হয়েছিলো। সংবিধান অনুযায়ী জন প্রতিনিধি দ্বারা পৌরসভা পরিচালিত হবে প্রশাসন দ্বারা নয়।
তিনি সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের প্রতি গত ৪ বছরের বেড়া উপজেলার ইজারাকৃত টাকা উপজেলার উন্নয়নের স্বার্থে উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিলে দেওয়ার অনুরোধ জানান। পৌর মেয়রের পদ থেকে বহিষ্কারকে স্বাগত জানিয়ে তদন্তের আহবান জানান আব্দুল বাতেন।
সংবাদ সম্মেলনে বেড়া পৌরসভার সব ওয়ার্ড ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ প্রিন্স ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক কবির মাহামুদ বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পৌরসভার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সচিবের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। আইন শুধু তিনি একাই জানেন না আমরাও জানি। আইন অমান্য করে সবার সামনে তিনি ইউএনওকে লাঞ্ছিত করেছেন। ঘাট ইজারার টাকা সঠিক নিয়মে সমভাবে বন্টন করা হয়েছে। আর এ বছরে জেলা প্রশাসন ঘাট ইজারাই দেয়নি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরকে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত দল আসার কথা জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে সমাধান দেবেন।