বিশেষ প্রতিনিধি।। দেশে আটকে পড়া ইতালি প্রবাসীরা তাদের কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে এখনো অনেকটা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। প্রতিদিন তারা দূতাবাসে যোগাযোগ করার পাশাপাশি দেশী-বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলোতে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। তবে তাদের সে শঙ্কায় কিছুটা হলেও স্বস্তি দেয়ার চেষ্টা করছে তুরস্কের বিমান সংস্থা টার্কিশ এয়ারলাইন্স। তুরস্কের বিমান সংস্থা টার্কিশ এয়ারলাইন্সে তারা ফিরতে পারবেন। সে লক্ষ্যে টার্কিশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ শর্ত দিয়ে টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। অপর দিকে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা-রোম রুটে একটি ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এয়ারলাইন্সের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকার ইতালি দূতাবাসের তথ্য মোতাবেক, গত ৯ জুলাই তারিখের আগে ইস্যুকৃত যেকোনো বৈধ রেসিডেন্ট কার্ডধারী বাংলাদেশী নাগরিক ইতালি প্রবেশের দিন থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিডমুক্ত মেডিক্যাল সনদ নিয়ে দেশটিতে ভ্রমণ করতে পারবেন। ভ্রমণকারী যাত্রীদের প্রবেশের দিন থেকে ১৪ দিন নির্ধারিত স্বাস্থ্যসুরক্ষা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে কোয়ারেন্টিন পালন বাধ্যতামূলক। সেই সাথে বিমানবন্দর থেকে নিজ নিজ অবস্থানে যেতে নাগরিক যাত্রী সুবিধার বাস বা ট্রাম ব্যবহার না করে ব্যক্তিগত বাহন ব্যবহার করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শর্ত পালনে সক্ষম টার্কিশ এয়ারলাইন্সের যাত্রী সাধারণের পূর্ববর্তী ফ্লাইট বাতিলের টিকিটের তারিখ পরিবর্তন করে নতুন যাত্রা তারিখ প্রদান করা হবে। যারা ইচ্ছুক তাদের বৈধ রেসিডেন্ট কার্ডের মেয়াদের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার সেবা প্রদান করা হবে। সেক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে শুধু আগামী ৩০ নভেম্বরের আগে মেয়াদ শেষ হতে চলা যাত্রীদের নিজ নিজ ট্রাভেল এজেন্সি কিংবা ঢাকাস্থ টার্কিশ এয়ারলাইন্স অফিসে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে রেসিডেন্ট কার্ডের মেয়াদ শেষ হতে থাকা সকল যাত্রীর টিকিট পরিবর্তন করে দিতে বাধ্য টার্কিশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ইতালিতে বাংলাদেশীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, লকডাউনসহ নানা কারণে দেশে আটকা পড়া প্রবাসীরা কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চিন্তিত রয়েছেন। এরমধ্যে অনেকের ভিসার মেয়াদও ফুরিয়ে আসছিল। এ অবস্থায় গত রোববার থেকে গুলশানে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে ফর্ম বিলি করে টিকিট ইস্যু করা হচ্ছে। আগামী নভেম্বর ইতালিগামী ফ্লাইটে তাদের ওঠার কথা রয়েছে। তার আগে যাত্রীকে কোভিড পরীক্ষার ফলাফল জমা দিতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে ছুটিতে এসে প্রায় ১২ হাজারেরও বেশি ইতালি প্রবাসী আটকা পড়েন।
এ দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৮ নভেম্বর রোমে একটি ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যাত্রীদেরকে বুকিংয়ের জন্য বিমান সেলস অফিসে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।