বিশেষ প্রতিনিধি।। কুমিল্লায় জহিরুল ইসলাম (২৭) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে শহরতলীর আড়াইওড়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত জহির সাতরা চম্পকনগর গ্রামের ফরিদ মিয়ার পুত্র।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হক।
হাসপাতালে নিহতের স্বজনরা জানান, জহির কুমিল্লা কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটে চাকুরী করতো। রাতে তার মোবাইলে একটি কল আসার সাথে সাথে তিনি বাসা থেকে বাহিরে যান। তবে জহিরুল ইসলামের বন্ধু এরশাদ মিয়া জানান, ‘সোমবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে তাকে সাথে নিয়ে জহির মোটরসাইকেল সার্ভিসিং করানোর জন্য আড়াইওড়া এলাকায় যান। সেখানে বাইক রাখার পর স্থানীয় সাইফুদ্দিন ও আজহারুল নামে দুই ব্যক্তি তাকে ডেকে নিয়ে যায়। আমি সেখানে দাড়িয়ে থাকি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর জহিরের চিৎকার শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে পড়ে আছেন।’ পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক আবুল হাসেম মনসুর জানান, আহত ওই যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এর পুরো শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল, হাসপাতালে নেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যই তিনি মারা যান।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল হক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তিনি নিজেও হাসপাতালে এসে স্বজনদের সাথে কথা বলে হত্যাকাণ্ডের কারণ জানার চেষ্টা করছেন। তবে এখনো হত্যার কারণ জানা