দুইটি পৌরসভায় জয় পেয়েছে বিএনপি, স্বতন্ত্র তিনটি পৌরসভায়
নিজস্ব প্রতিনিধি।। প্রথম ধাপের বেশির ভাগ পৌরসভায় জয়লাভ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা। গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ২৪টি পৌরসভায় ভোট সম্পন্ন হয়। অনিয়ম ও জোরপূর্বক কেন্দ্র দখলের ঘটনায় বেশকিছু পৌরসভায় বিএনপি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছে। বিএনপির প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে খুলনার চালনা পৌরসভার মেয়র পদের ভোটের ফলাফল স্থগিত রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২৩টি পৌরসভার প্রাপ্ত ফলাফলে আওয়ামী লীগ ১৭টি পৌরসভায়, বিএনপি দুটি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তিনটি পৌরসভায় বিজয়ী হয়েছেন।
বরিশাল অফিস জানিয়েছে, বরিশালের উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ পৌরসভায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়যুক্ত হয়েছেন। বাকেরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী লোকমান হোসেন ডাকুয়া ৭ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। বাকেরগঞ্জ পৌরসভায় ১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন আবুল কালাম, ২ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় খন্দকার জিয়াউর রহমান রিপন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সুজন দেবনাথ, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সেলিম রেজা, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আমিরুজ্জামান রিপন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মোকলেছুর রহমান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে খান মোহাম্মদ সেলিম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে জগদীশ মিত্র এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন নজরুল আকন। এছাড়া সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন অঞ্জু রানী, সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডে বানু বেগম এবং সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আনোয়ারা বেগম। অপরদিকে উজিরপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন বেপারী ৫ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। এছাড়া এই পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন অসীম ঘরামী, ২ নম্বর ওয়ার্ডে হেমায়েত উদ্দিন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নাসির সিকদার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নজরুল ইসলাম মামুন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মজিবর রহমান, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে হাকিম সিকদার ও রিপন মোল্লা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায়, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে খায়রুল ইসলাম এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে খবিরউদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন। পাশাপাশি সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ডে আঁখি বেগম, সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডে শামসুন্নাহার এবং সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওয়ার্ডে রানী বেগম নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজশাহী অফিস জানিয়েছে, রাজশাহীর কাঁটাখালী পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ এবং পুঠিয়ায় বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। কাঁটাখালীতে মেয়র পদে বিপুল ভোট পেয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আব্বাস আলী। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ১৬৫ ভোট। আর পুঠিয়ায় বিএনপির প্রার্থী আল মামুন খান ৫ হাজার ৯২০ ভোট। পুঠিয়া পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী আল মামুন খান ৫ হাজার ৯২০ ভোট পেয়ে ৭৬২ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। আর আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান মেয়র রবিউল ইসলাম পেয়েছেন ৫ হাজার ১৫৮ ভোট।
ঢাকার ধামরাইয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম কবীর বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ১১০ ভোট।
মানিকগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. রমজান আলী ৩১ হাজার ৫৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
বরগুনার বেতাগী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর থেকে ১১ গুণ বেশি ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ বি এম গোলাম কবির। নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি ৬ হাজার ১০২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এস এম ইকবাল হোসেন সুমন ১২ হাজার ৪১১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
নেত্রকোনার মদন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম সাইফকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪১ ভোট।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জগ প্রতীকে মো. আনোয়ার হাওলাদার ৩ হাজার ৩৩৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী জয়লাভ করেছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৭৮।
ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল হক ৯ হাজার ২৫৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
কুড়িগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগসমর্থিত প্রার্থী মো. কাজিউল ইসলাম নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ১৯ হাজার ৭৭৩।
কুষ্টিয়ার খোকসায় মেয়র পদে দ্বিতীয়বারের মতো ৯ হাজার ৩২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের তারিকুল ইসলাম।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মাহামুদ আলম লিটন ৭ হাজার ৭৪৭ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বিএনপি প্রার্থী মো. ফরিদ আহমেদ অলি ৩ হাজার ৮৪০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।
পঞ্চগড়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাকিয়া খাতুন ১২ হাজার ৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
রংপুরের বদরগঞ্জে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আহসানুল হক চৌধুরী টুটুল ৯ হাজার ৭৩৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম খোকন ২২ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
পাবনার চাটমোহরে পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাখো ৬ হাজার ৮১২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নৌকার প্রার্থী মনির আক্তার খান তরু লোদী ২৯ হাজার ৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিশ্বজিৎ রায় জয়লাভ করেছেন। তিনি ৫ হাজার ৯১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডু পৌরসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৯০ ভোট।