আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। টানা কয়েক মাস ভারতের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার পর অবশেষে লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে বেইজিং। এরই মধ্যে ১৪০টি ট্যাক্সসহ ৭ হাজারের বেশি সেনা সরিয়ে নিয়েছে তারা। নয়াদিল্লির দাবি, তাদের চাপেই পিছু হটছে বেইজিং। দেশটিকে আরও চাপে রাখতে চার গুণ বেশি গতিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র আনতে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদি প্রশাসন।
লাদাখ সীমান্তের প্যাংগং এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে চীন। মঙ্গলবার ভারতীয় সেনা বাহিনীর প্রকাশিত এ ভিডিওতে এমনই দেখা যায়।
দুই দেশের একাধিক আলোচনার ভিত্তিতে অবশেষে এ উদ্যোগ নিলো বেইজিং। যদিও নয়াদিল্লির দাবি, বেইজিং তাদের চাপেই পিছু হটছে।
চীনের এমন কার্যক্রমের মধ্যেই ভারতের পক্ষ থেকে চীনা সেনাদের তৈরি করা বাঙ্কার ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে এ নিয়ে চীনের এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
জানা যায়, সীমান্ত এলাকা ফিঙ্গার ফোর থেকে ফিঙ্গার এইটের মধ্যে চীন প্রতিরক্ষার বড় প্রাচীর তৈরি করেছিল। ভারতের দিকে মুখ করে বন্দুক তাক করে রেখেছিল সেনারা। এছাড়া ফিঙ্গার ফোরে ভারতও সেনা তৈরি রাখে।
সীমান্তে কমপক্ষে ৫০ হাজার সেনা রয়েছে চীনের। তাদের সরিয়ে নিতে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগবে। ১৪০টি ট্যাঙ্ক, ৬০টি আর্টিলারিসহ কয়েক হাজার চীনা সেনা ইতোমধ্যে সরে গেছেন। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনা সরিয়ে নেয়া হলেও সীমান্তে কড়া নজরদারি বজায় থাকবে। একই নজরদারি চীনও বজায় রাখবে।
২০২০ সালের মে মাস থেকেই উত্তপ্ত লাদাখের ভারত-চীন সীমান্ত। ১৫ জুন গালওয়ানে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘটে প্রাণহানিও। ভারত বারবার সীমান্তে শান্তির পক্ষে জোর দিলেও, নিজেদের শক্তি বাড়াতে মরিয়া দেশটি। চীন ও পাকিস্তানকে আকাশপথে টক্কর দিতে তারা এবার আনছে চার গুণ বেশি গতিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র। যা মাঝ আকাশে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমানে আঘাত হানতে সক্ষম বলে জানিয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনী।