শাহজাহান সরকার,বিশেষ প্রতিনিধি।। পাবনা জেলায় সর্ব্বোচ্চ পেঁয়াজ উৎপাদনকারি এলাকা হলো সুজানগর, বেড়া, সাঁথিয়া উপজেলা। যার সিংহভাগ বিক্রি হয় কাশিনাথপুর,বেড়া ও আতাইকুলা হাটে। সপ্তাহের হাট গুলো ঘুরে দেখা গেছে পেঁয়াজের দাম তেমন আশানুরূপ না পেয়ে বিক্রেতাদের মুখে কালো মেঘের ছায়া ভেসে ওঠে। কারণ হিসাবে বর্তমানে বড় পেঁয়াজ মানভেদে ১২০০-১৪০০ টাকা ও রোপন যোগ্য ছোট পেঁয়াজ ১৮০০-২০০০ টাকা বিক্রি হতে দেখা যায়।
এতে উদ্বেগ বেড়েছে কৃষক ও মজুতদারের। সুজানগরের গাজনার বিলের পেঁয়াজ চাষী মো. মোখলেস কাশিনাথপুর হাটে ২০ মন পেঁয়াজ এনেছিলেন। পেঁয়াজের বাজারে ১৪০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেন। তিনি জানান, যেখানে ভরা মৌসুমে ১মণ পেঁয়াজ ১৫০০-১৬০০ টাকা করে ছিলো সেখানে আজ চাঙে রেখে পেঁয়াজ সুখায়ে বেচলাম ১৪০০ টাকা মণ।
বেড়া বাজারে পেঁয়াজ বিক্রেতা শফিউল্লাহ জানান, এ বছরে এমনিতেই পেঁয়াজের বীজের দাম বেশি ছিলো, যে পেয়াজের বীজ প্রতি বছর ১২০০-১৩০০ টাকা করে কিনতাম সে বীজ এ বছরে মানভেদে ৫০০০-১৫০০০ হাজার টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছে। সে হিসেবে আমাদের চাষ, সার, পরেত খরচ সাথে অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রতি মন পেঁয়াজ প্রায় ১৪০০-১৫০০ টাকা মণ খরচ পড়ছে। এখন যে বাজার চলছে এতে করে লাভতো দূরের কথা খরচের টাকাও উঠা দায়।
বড় বিপদের সম্মুখীন পেঁয়াজ মজুতদার , জনাব আলমাস আহমেদ এ বছর প্রায় ২০০ মন পেঁয়াজ হাট থেকে কিনে মজুত করেছেন। তিনি জানান, পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে ১৫০০-১৬০০ টাকা মণ হিসেবে প্রায় ২০০ মণ পেঁয়াজ কিনেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত সংরক্ষণ করে শুঁকিয়ে যাওয়ার পড়ে বেচতে হচ্ছে ১৩০০-১৪০০ টাকা। এতে করে পেঁয়াজ শুকিয়ে কমে যাওয়ায় গড়ে প্রায় ৫০০-৬০০ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়ায় পেঁয়াজ সরবরাহকারী ব্যাপারী মহীর অভিযোগ করে বলেন, বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি করায় এ বছরে পেঁয়াজের দাম বাড়েনি।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এ বছর পাবনায় প্রায় ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে বিভিন্ন জাতের পেয়াজ। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৫হাজার হেক্টর বেশি। যার উৎপাদন ধরা হয়েছিলো ৬ লাখ মেট্রিক টন।
উল্লেখ্য, দেশের মোট চাহিদার তিনের একাংশ পেঁয়াজ পাবনার বিভিন্ন উপজেলা থেকে উৎপাদন হয়।