বিশেষ প্রতিনিধি।। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় পদ্মা সেতু হয়ে ঘরমুখী যাত্রী ও যানবাহন পারাপার বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত এ সেতু দিয়ে ৪৪ হাজার ৩৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় করা হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৩০ হাজার ১০০ টাকা।
এর আগে গত ঈদুল ফিতরে এক দিনে টোল আদায় করা হয়েছিল ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা। সে হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় আদায় করা টোল পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এযাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বলছে সেতু বিভাগ।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ২৮ হাজার ৯৯৬টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭২ লাখ ৫৪ হাজার ৫৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পদ্মা সেতু পার হয়েছে ১৫ হাজার ১৩৭টি গাড়ি। এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫০ টাকা। এ ছাড়া সেতু বিভাগের গাড়ি পারাপারে মাওয়া প্রান্তে বকেয়া আছে ১ হাজার ২০০ টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা আজ শনিবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সকাল থেকে ঈদে ঘরমুখী মানুষের যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ ছিল। এতে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হয়েছে। টোল আদায়ের পরিমাণ থেকে বোঝা যাচ্ছে, মানুষ পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে বাড়িতে যেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন।
এর আগে ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ টোল আদায় করা হয়েছিল ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা। ২০২২ সালে আদায় হয়েছিল ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা।
২০২২ সালের ২৫ জুন বহুল কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা ও দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেচ চলেছে।