বিশেষ প্রতিনিধি।। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই প্রতিপক্ষ চাচাতো ভাইদের হাতে খুন হয়েছেন আব্দুর রশিদ মোল্লা (৫৫) নামের এক পল্লী চিকিৎসক। এই সময় বাধা দিতে গেলে নিহত আব্দুর রশিদ মোল্লার ছেলে উজ্জল মোল্লাকে (৩১) গুরুতর আহত করে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
শুক্রবার ১ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাবনার সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নে আতাইকান্দা জিনিপাড়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রশিদ ভাঁড়ারা ইউনিয়নের আতাইকান্দা গ্রামের মৃত কিতাব মোল্লার ছেলে। তিনি পেশায় পল্লী চিকিৎসক ছিলেন।
পাবনা সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) রওশন ইয়াজদানি হত্যার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার প্রত্যেক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে আব্দুর রশিদ মোল্লা আতাইকান্দা জিনিপাড়া মোড়ে নিজের ওষুধের দোকানে বসেছিলেন। এই সময় পেছন থেকে কয়েকজন যুবক ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ সময় তাঁর ছেলে উজ্জল মোল্লাকেও হত্যার চেষ্টা করেন অস্ত্রধারীরা। কিন্তু মোড়ের লোকজন এগিয়ে আসলে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় উজ্জল মোল্লাকে উদ্ধার করে পাবনা মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) রওশন ইয়াজদানি ঘটনাস্থলে থেকে জানান, আপন চাচাতো ভাই আফতাব মোল্লা ও তাঁর ছেলেদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল রশিদ মোল্লার।
বিরোধের এই জের ধরেই এই হত্যাকান্ড চালানো হয় বলে
পাবনা সদর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান ওসি।