অনলাইন ডেস্ক।। যুগোপযোগী যুদ্ধ সরঞ্জাম সংযোজনের মাধ্যমে গেলো ১৩ বছরে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী যথেষ্ট শক্তিশালী ও অগ্রসর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জাতীয় যে কোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকবে।
বুধবার ২৭ অক্টোবর সকালে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রামের হালিশহরে আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে সেনাবাহিনীর ১০টি ইউনিটকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি।
স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি বহির্বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সক্ষমতা বাড়ছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর। বিশেষ করে সেনাবাহিনীতে সম্প্রতি সংযুক্ত মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম বা টাইগার এমএলআরএসসহ অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের সংযোজন সমৃদ্ধ করেছে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা। শুধু সমর সরঞ্জাম কেনাই নয়, যুদ্ধের মাঠে এসবের নিখুঁত পরিচালনায় তাই যোগ্য করে গড়ে তোলা হচ্ছে বাহিনীর সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোকেও।
বুধবার সকালে এমন ১০টি ইউনিটকে জাতীয় পতাকা দেয়ার অনুষ্ঠান হলো চট্টগ্রাম আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে। ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এতে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উপস্থিত কর্মকর্তারা সশস্ত্র সালাম জানান তাকে।
সরকার প্রধানের পক্ষে সামরিক রীতিতে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ১০টি ইউনিটকে জাতীয় পতাকা বা ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড এবং মুজিব রেজিমেন্ট ও রওশন আরা রেজিমেন্টকে দেয়া হয় সম্মানসূচক নতুন পতাকা।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিন বাহিনীর আধুনিকায়নে সবকিছুই করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। জানান, এ বছরই আরো কিছু যুদ্ধ সরঞ্জাম যোগ হবে বাহিনীতে।
তিনি বলেন, জাতীয় নিরাপত্তায় সশস্ত্র বাহিনীর জন্য নিজস্ব টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ১৩ বছরে সশস্ত্র বাহিনী যতেষ্ঠ শক্তিশালী ও অগ্রসর হয়েছে। যুদ্ধের ময়দানে জাতীয় পতাকা একটি মর্যাদার প্রতীক। এই মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার দায়িত্ব সশস্ত্র বাহিনীর।তিনি জানান, প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করে মানবতার সেবায় সুনাম অর্জন করছে বাংলাদেশের তিন বাহিনী।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর জন্য মিডিয়াম রেঞ্জের মিসাইল কেনা হচ্ছে। সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জাতীয় প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সবসময় প্রস্তুত থাকবে এমন প্রত্যাশাও জানান সরকারপ্রধান।