বিশেষ প্রতিনিধি।। লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ইউনিয়ন সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার রাতে জোংড়া ইউনিয়নের ধবলগুড়ি উত্তরবর্ডার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত নয়টায় জোংড়া ইউনিয়নের ধবলগুড়ির উত্তরবর্ডার গ্রাম সীমান্তের ৮৭৩ নম্বর মেইন পিলারের ১৫-১৬ নম্বর সাবপিলারের পাশ দিয়ে ভারতের কোচবিহার-১৬৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নলঙ্গিবাড়ি ও সাতগ্রাম ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফের কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশের প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ওই গ্রামের বাসিন্দারা অনুপ্রবেশের কারণ জানতে চান ও প্রতিবাদ জানান। প্রতিবাদের মুখে বিএসএফ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। পরে আরও বেশি বিএসএফ সদস্য সেখানে আবার অনুপ্রবেশ করেন। স্থানীয় লোকজন বিজিবি সদস্যদের খবর দেন। বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিএসএফ সদস্যদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন বিএসএফ সদস্যরা।
গ্রামবাসীর ভাষ্য, কিছুদিন আগে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে শূন্যরেখার ৩০ গজের মধ্যে তাঁদের পাহারা চৌকি বসান। ওই চৌকি ভাঙার অজুহাত দেখিয়ে তাঁরা গ্রামে প্রবেশ করেন।
এ ঘটনায় আজ রোববার বেলা ১১টায় ওই সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে খারিজা জোংড়া বিজিবি সদর কোম্পানি কমান্ডার আবদুর রহমান বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের বিষয় জানতে চান। জবাবে বিএসএফের সাতগ্রাম কমান্ডার সবায় সিং ও ক্যাম্প কমান্ডার বাইডিয়া বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে রংপুর ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের খারিজা জোংড়া বিজিবি সদর কোম্পানি কমান্ডার আবদুর রহমান বৈঠক শেষে বলেন, বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের বিষয়টি বিএসএফ অস্বীকার করেছে।
পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের অনুপ্রবেশ, এলাকায় আতঙ্ক
Previous Articleসৌদিতে ১৫ হাজারেরও বেশি অভিবাসী আটক
Next Article স্কুল-কলেজের সামনে পান-সিগারেটের দোকান বসানো যাবে না