বিশেষ প্রতিনিধি : বর্তমানে ডলারের ঊর্ধ্বগতি ও আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে আমদানি নিরুৎসাহিত করতে বেশ কিছু পণ্যে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এ জন্য আজ মঙ্গলবার সকালে ২০২১ সালের একটি প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পরে দুপুরে ওই প্রজ্ঞাপনের ব্যাখ্যা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়, ১৩৫ ধরনের পণ্য আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক শূন্য বা ৩ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। এই তালিকায় আসবাব; সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ব্যবহৃত প্রসাধনসামগ্রী, ফলমূল ও ফলজাতীয় পণ্য আছে।
নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে এসব পণ্য আমদানিতে খরচ বাড়বে। এই তালিকায় আছে শুকনা, তাজা কিংবা হিমায়িত আপেল, নাশপাতি, আঙুর, কলা, আনারস, পেয়ারা, আম, তরমুজ, পেঁপে, বাদাম, কমলালেবু ও লেবুজাতীয় ফল, আলুবোখারা ইত্যাদি। এ ছাড়া প্রসাধনসামগ্রীর মধ্যে আছে সুগন্ধি (পারফিউম), সৌন্দর্য বর্ধনের নানা উপাদান (যেমন সানস্ক্রিন, সান টান ইত্যাদি), হাত-পায়ের নখ কাটার প্রসাধনী, চুলের যত্ন নেওয়ার প্রসাধনী, দাঁতের যত্ন নেওয়ার পেস্ট ও পাউডার এবং সেভ করার প্রসাধনী। অন্যদিকে শোবার ঘর, রান্নাঘর ও অফিসের জন্য লোহা, কাঠ বা প্লাস্টিকের যেকোনো ধরনের আসবাব আমদানিতেও এখন থেকে বাড়তি নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক দিতে হবে। এ ছাড়া যেকোনো তাজা ফুল ও ফুলের গাছ আমদানিতেও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বাড়তি নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসল।
এনবিআর তাদের ব্যাখ্যায় বলেছে, কোভিড–পরবর্তী অর্থনীতি পুনর্গঠন ও বিলাসবহুল পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা এবং আমদানি হ্রাস করা এবং বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয়ের জন্য ১৩৫টি পণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসানো হয়েছে।
এনবিআর আরও বলেছে, বর্তমানে দেশে উৎপাদিত আসবাব ও প্রসাধনসামগ্রী যথেষ্ট মানসম্মত এবং দেশের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সক্ষম। ফল ও ফুল চাষেও যথেষ্ট সমৃদ্ধিশালী দেশ। এসব পণ্যে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসানোর ফলে বিদেশি পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশি শিল্পের বিকাশ ঘটবে।