বিশেষ প্রতিনিধি।। দিনাজপুরের চিরিবন্দরে খামারে বিশালাকৃতির মহারাজাকে দেখতে মানুষের ঢল ।
বিশালাকৃতির দৈহিক গড়নের কারণেই এমন নাম রাখা হয় “মহারাজা”। ৩৮ মণ ওজনের বিদেশি জাতের এই ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ২২ লাখ টাকা। কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য গরুটিকে লালন-পালন করছেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের খামারি আপেল আহম্মেদ।
ঈদের আর বেশিদিন নেই, তাই মহারাজাকে নিয়ে ব্যস্ত খামারি আপেল। মহারাজাকে ‘রাজার হালে’ রাখতে দিনে চারবার তাকে শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করান। গরুটিকে দেশি ঘাস, ভুষি ও খৈল খাওয়ান তিনি। দেশীয় পদ্ধতিতে পরিচর্যায় খামারে কোনো কমতি নেই। মহারাজা ছাড়াও তার খামারে আরও গরু রয়েছে। তবে মহারাজার প্রতি নজর একটু বেশিই দিতে হয় আপেলকে। যাতে ছুটে পালাতে না পারে সে জন্য দুজন শ্রমিক সার্বক্ষণিক চোখে চোখে রাখছে।
খামারের এক কর্মী জানান, প্রতিদিন সকাল-বিকেল শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করানো হয়। সেই সঙ্গে আদর-যত্নও করা হয়। এ ছাড়া আমরা তাকে সবধরনের দেশীয় খাবার খাওয়াই। এখানে খাবারের সঙ্গে কোনো প্রকার কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না।
খামারি আপেলের দাবি, দিনাজপুর জেলায় তার ‘মহারাজা’ই সবচেয়ে বড় গরু। প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছে গরুটিকে দেখতে।