শ্রদ্ধাঞ্জলি
সালাম লইবেন গুরুজন,সালাম তাদের পায়,
সালাম লইবেন আব্বাজান আর লইবেন আম্মায়,
সালাম লইবেন ভাইজানেরা,আর লইবেন আপায়,
দোয়া করবেন মোরে ভালো পায় যেন আল্লায়।
শোনেন শোনেন বন্ধুগন,শোনেন দিয়া মন
খোকা বাবুর কথা আমি করিব বর্ণন।
হায় রে করিব বর্ণন।
দিনটি ছিল মার্চ মাসেরো সতের তারিখ,
জন্ম নিলেন খোকাবাবু খুশি সর্বদিক।
হায় রে খুশি সর্বদিক।
পুত্র পাইয়া দারুন খুশি মাতা সায়েরায়,
ভাবিলেন না এই ছেলেটি করবে জগত জয়।
হায় রে করবে জগত জয়।
লুতফর রহমান ছিল তাহার পিতার নাম,
সরকারেরও লোক আছিলেন নানান জায়গায় কাম।
হায়রে নানান জায়গায় কাম।
প্রাইমারির ছাত্র তবু সাহসী ছিলেন,
সরোয়ার্দি,ফজলুল হকরে পথে আটকাইলেন।
হায় রে পথে আটকাইলেন।
ছাত্রাবাসের বিল্ডিং ভাংগা, ঠিক করিয়া দেন,
নইলে যেতে না পারিবেন, এই কথা শোনেন।
হায় রে এই কথা শোনেন।
রাজনীতিরো টান ছিল তার মনেতে ব্যাপক,
ডর ভয় কিছু না করিয়া কইতেন কতা হক।
হায় রে কইতেন কতা হক।
কলেজেরো নলেজ নিয়া ভার্সিটিতে যান,
ঢাকারো ভার্সিটির তিনি আইনেতে চান্স পান।
হায়রে আইনেতে চান্স পান।
চাইর ক্লাসের কষ্ট দেইখা পাইলেন মনে শোক,
ছাত্রজীবন হারাইলো তার জানে সর্বলোক।
হায় রে জানে সর্বলোক।
আওয়ামী লীগ জন্ম নিলে যুগ্ম সম্পাদক,
লক্ষ্য করলাম এই ছেলেটির জেলের দিকে ঝোঁক।
হায়রে জেলের দিকে ঝোঁক।
যুক্তফ্রন্ট জয়ী হইলে এম পি তিনি হন,
মন্ত্রী পদটি ছাইড়া দিলেন বৈষম্যের কারন।
হায়রে বৈষম্যের কারন।
ঊনিশশত ছিষট্টি সাল লাহোরেতে যান,
ছয় তারিখের স্মমেলনে ছয় দফা ফরমান।
হায়রে ছয় দফা ফরমান।
৬৮-তে খাইলেন তিনি আগরতলার কেস,
ছাত্র-গণের অভ্যুত্থআনে ৬৯-এ শেষ।
হায়রে ৬৯- এ শেষ।
৭০ সালের নির্বাচনে বিজয় তিনি পান,
টালবাহানা শুরু করল ইয়াহিয়া খান।
হায়রে ইয়াহিয়া খান।
মুক্তযুদ্ধ শুরু হইল একাত্তর সালে,
স্বাধীনতা পাইলাম মোরা নয় মাসের কালে।
হায়রে নয় মাসের কালে।
দেশ গঠনে মন লাগাইলেন স্বাধীনতার পর,
নিজের হাতে গইড়া তুললেন শহর আর নগর।
হায়রে শহর আর নগর।
মনটা আমার বেজায় কান্দে পনের তারিখ,
কি করিব কোথায় যাব ছুটি দিক বিদিক।
হায়রে ছুটি দিক বিদিক।
পরপারে বঙ্গবন্ধু আলোতে আধার,
রশিদ,ফারুক,মোস্তাকের কি নিঠুরো কারবার।
হায়রে নিঠুরো কারবার।
মনের কষ্টে বিদায় নিলাম, দোয়া করবেন ভাই,
সকলেরো তরে আমার সালামও জানাই।
হায় রে সালামও জানাই।
লেখকঃ মোঃ কামরুল ইসলাম সহকারী শিক্ষক ইংরেজী বিভাগ পিরোজপুর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়।