বিশেষ প্রতিনিধি।। পাবনার আমিনপুর থানাধীন রুপপুর ইউনিয়নের কাঠালডাঙ্গী গ্রামে গৃহবধু শিউলির রক্তাক্ত দেহ তার ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে মর্মে খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক আমিনপুর থানা পুালিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিউলির গলা কাটা রক্তাক্ত মৃত দেহ উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ শে সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে চারটার দিকে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় ভিকটিমের মা ঘুম হতে উঠে ঘরের বাহিরে আসলে দেখতে পান ভিকটিমের ঘরের দরজা খোলা তখন ভিকটিমের মা নাম ধরে ডাকলে কোন সাড়া না পেয়ে ঘরের মধ্য প্রবেশ করে দেখতে পান ঘরের মেঝেতে তার মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে । তা দেখে চিৎকার দিলে অনান্য ঘরে থাকা ভিকটিমের বাবা বোন সহ আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসে এবং ভিকটিমকে মৃত অবস্থায় পায়। তখন ভিকটিমের স্বামী পলাতক ছিল।
পুলিশ সুপার, পাবনা জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসীর নির্দেশনা এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জনাব মোঃ মাসুদ আলম এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আমিনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব রওশন আলীর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম উন্নত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুজানগর থানাধীন হাটখলি এলাকা থেকে ঘাতক স্বামী মোঃ বিদ্যুত আলী শেখকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় বিবাহের পর হতে তাদের মধ্য সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ লাগতো যার প্রেক্ষিতে আসামী পরিকল্পনা করে যে সে তার স্ত্রীকে হত্যা করে এ মানসিক যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবে। এ চিন্তাভাবনা থেকেই আসামী ২৫ সেপ্টেম্বর ভোর ৪.১৫ ঘটিটার সময় তাদের শয়ন ঘরে থাকা দেশীয় তৈরী চাকু দ্বারা ভিকটিম এর গলা কেটে হত্যা করে কৌশলে পালিযে যায়।
পরবর্তীতে আসামিকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গেলে আসামীর দেখানো ও নিজ হাতে বাহির করে দেওয়া মতে সালাম মন্ডল এর ধান ক্ষেত হতে স্থানীয় সাক্ষীদের সামনে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়।
আসামী বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
ভিকটিম পাবনা জেলার আমিনপুর থানার রূপপুর ইউনিয়নের কাঠালবাড়ি গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে মোছাঃ শিউলী খাতুন (৩০) ।
গ্রেফতারকৃত আসামীর পাবনা জেলার আমিনপুর থানার বাদাই গ্রামের মৃত মৎস্যদের শেখের ছেলে বিদ্যুৎ (৩৫)
পাবনা প্রেস রিলিজে এ তথ্য জানানো হয়।