গতি-জড়তা এবং অন্যান্য কবিতা
-মুশফিক শুভ
১.
দেয়ালে ঘষছে- শিরিশ কাগজ;
সময় ছুটছে- বেয়ারিং চাকায় ভর করে।
খসে পরে-
পলেস্তার;
রঙের স্তুপ;
ক্লান্তি মাখা দীর্ঘশ্বাস।
আমরা শিখি- গতি ও জড়তা।
অথচ,
পরিবর্তন- স্থির;
চেতনাগুলো- সাময়িক;
মুক্তির পথ- অবরুদ্ধ।
রাতভর;
আমাদের চোখ জেগে থাকে- লালসার বিজ্ঞাপন হয়ে।
২.
সমুদ্র জেনেছিল প্রথম- হাওয়ার বিজ্ঞান;
স্রোত ও নাবিক- গন্তব্যহীন;
যাত্রীদের চোখে ঘুম নেই।
জলের বুকে কুয়াশার তৃষ্ণা।
এখন শরৎ;
কাশফুলের ইশারায়- উতলা শিশির জল;
মেঘের বিরহে বৃষ্টি ঝরে- শীত আসে;
বুকের ভাজে ঘাম শুকায়- তৃষ্ণা বাড়ে।
আঁধার বাড়ে।
ধীরে ধীরে নিকটবর্তী হতে থাকে- সুবহে সাদেক।
৩.
ছুটছি- নীড়ে;
নাড়ির টানে;
গণ-পরিবহনে।
আজকাল এ আমার- রোজকার নিয়ম।
চারদিকে- যাত্রীদের কোলাহল;
ইঞ্জিনের শব্দ- কোরাস গায়;
গা ঘেষে দাঁড়িয়ে স্টপিস- যাত্রা বিরতি।
কন্ট্রাকটারের কণ্ঠে পুনরাবৃত্তি সুরে কলরবঃ
বাটাজোর- গৌরনদী- আগৈলঝারা।
ঘুমের ঘোরে আমার চোখ বুজে আসে;
হারিয়ে ফেলি আমার স্টপিজ।
হারিয়ে ফেলা যেন- জীবনের এক স্বাভাবিক নিয়ম।
৪.
কুল- অর্থঃ পাঠ করো।
অতঃপর;
শুরু হল পাঠ-
জ্ঞান এবং আধ্যাতিকতা।
নির্লিপ্ততা ভুলে- শুরু হোক- জ্ঞান আহরণ।
আমরা শিখি;
মনুষ্যত্ব এবং ভ্রাতৃত্ববোধ;
যা ছিল অজ্ঞাত- আমাদের পূর্ব পুরুষদের কাছে।
আমরা শিখি পার্থক্য-
আপেল এবং গন্ধমের।
তবু আমরা আবেগায়িত হই;
তার প্রতি- যা কিছু নিষিদ্ধ;
হতাশায় হতাশায় বিকল হতে থাকে-
বোধ ও মননশীলতা।
অথচ;
সত্যের ইশারায়- ভ্রম কেটে গেলে জীবন সুন্দর।