তিন কাব্যের বন্দীশালা
মোঃ আল আমিন জুয়েল এফসিএ
তিন কাব্যের সংসার জীবন
নারী সুখ বিলাস
মিছে মোহ বন্দীশালায়
আমি আর তার বাস।
কিছুদিন চললো এমন
মরীচিকার পিছে
ভাবিনি সত্যি হবে
মোহ মায়া মিছে।
কোনো এক শুণ্যক্ষণে
পুর্ন করি ভবে
খোকা তুই পুন্যমনে
আসলি যেন কলরবে।
তিন কাব্যের সংসার চাকা
চলছে বেজায় ভারি
দিনেদিনে পরবো নুঁয়ে
আত্মা হীনা গাড়ি।
খোকা মোর পুরুষ হবে
সকল বিষয়ে পাস
বিশাল কোন চাকরি পেয়ে
হবে টাকার গাছ।
রাজকন্যা আনবে ঘরে
খোকার বড় সাধ
সীমাহীন থাকবে সুখে
দিন রাত্রি মাস।
আমি কি বলতে পারি
একি হলো সর্বনাশ!
তুই ও খোকা করবি নাকি
বন্দীশালায় বাস।
নারী পুরুষ রসালাপে
শতক কাব্য গাঁথা
সাদা কালো সংসার মোর
তিন কাব্যের কথা।
আহারে সংসার জীবন
তিনটিই কথা হবে
তার ভিতরে একটি কথা
“সকালে কী খাবে”?
অফিসের ব্যস্ত জীবন
শেষ হয় না কাজ
তার ভিতরে অন্যকথা
“ফিরবে কখন আজ”?
শত যন্ত্রণা বুকে লয়ে
পুরুষরা ঘুমাক
এর মাঝে শেষের কাব্য
“খাবার দিছি” ডাক।
আহারে সংসার জীবন
পুরুষ পেইং গেস্ট
অপেক্ষায় দিনপঞ্জির
সকল পরিশেষ।
তিন কাব্যের সংসারজীবন
তোরও বুঝি হবে
দোয়া রাখি খোদার কাছে
উল্টো সবই হবে।
মানবিক খোকারে তুই
ন্যায়ের পথে যাবি
সকলের সুখের তরে
আশা শুণ্য হবি।
তোরও যদি কস্ট আসে
যন্ত্র মানব হবি
অবসরে সকল কথা
নদীর সাথে কবি।
তিন কাব্যের বন্দীশালা
আর কতোকাল রবে!
দিনপঞ্জির প্রহর হরা
নুতন সকাল হবে।।