জানা গেছে, মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়া ইউসুব আলী আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী মাঝপাড়া গ্রামের কামরুজ্জামান ও পারভীন আক্তার দম্পতির তৃতীয় সন্তান। সে স্থানীয় উত্তর গোবধা দাখিল মাদরাসার ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, জান্নাতি আক্তার খাদিজার ছোটবেলা থেকেই তার দৈহিক গঠন ও আচরণ ছিল মেয়েসুলভ। তার চলাফেরাও ছিল মেয়ে বন্ধুদের সঙ্গেই।
হঠাৎকরে গত এক মাস ধরে তার আচরণ ও দৈহিক গঠনে ছেলেসুলভ পরিবর্তন দেখা দেয়। গত সপ্তাহে তার কণ্ঠ ও দৈহিক গঠন পুরোপুরি পুরুষে রূপান্তরিত হলে, পারিবারিকভাবে তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।পরিবার সূত্রে জানা যায়, মেয়ে থেকে পুরোপুরি ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ায় তার নাম জান্নাতি আক্তার খাদিজা পরিবর্তন করে ইউসুব আলী রাখা হয়। চুল কেটে ছোট করে, নারীদের পোশাকের বদলে ছেলেদের পোশাকও পরছে সে।
তবে লোক-লজ্জায় বাড়ির বাইরে যেতে এবং মাস্ক খুলে ছবি তুলতে রাজি হয়নি ইউসুব আলী। ঘটনাটি গত এক সপ্তাহ ধরে নিজেদের মধ্যে গোপন থাকলেও গতকাল বৃহস্পতিবার তা গ্রামবাসীর মধ্যে প্রকাশ পায়। ফলে তাকে একনজর দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন।
রূপান্তরিত ইউসুব আলীর বাবা কামরুজ্জামান বলেন, এক মাস ধরে খাদিজার কণ্ঠ ও দৈহিক গঠনে বেশ পরিবর্তন ঘটতে থাকে। গত সপ্তাহে সেগুলো পুরোপুরি পুরুষে রূপান্তরিত হওয়ায় পারিবারিকভাবে তাকে পরীক্ষা করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তাই তার নাম খাদিজা থেকে পরিবর্তন করে ইউসুব আলী রাখা হয়েছে। সে এখন পুরোপুরি পুরুষ এবং সুস্থ।
দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান নান্নু বলেন, লোক মুখে ঘটনাটি শুনেছি।আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আজমল হক বলেন, হরমোন পার্থক্যের কারণে এমনটি হতে পারে। হঠাৎ কোনো পুরুষের শরীরে নারী হরমোন বৃদ্ধি পেলে পুরুষ থেকে নারীতে এবং নারীর শরীরে পুরুষ হরমোন বৃদ্ধি পেলে নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হতে পারে। মূলত পরীক্ষা না করে কিছুই বলা যায় না