তিনি একটি সরকারি অফিসে চাকরী করেন। দিন শেষে বাসায় ফিরে ছেলে মেয়েদের নিজেই পড়ান, অংক করে এমনকি ছবি এঁকে দিচ্ছেন। এসবই তিনি করে থাকেন তার পা দিয়ে।
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাকলুকাত হচ্ছে মানুষ। তবে মানুষ সৃষ্টির সেরা হলেও মহান আল্লাহ তায়ালা সব ধরণের মানুষদের পছন্দ করেন না। তাহলে মুসলামান ভাইদের অবশ্যই জেনে রাখা দরকার আল্লাহ আসলে কোন প্রকৃতির মানুষকে বেশি পছন্দ করেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা আসলে ওই ধরণের মানুষকেই বেশি পছন্দ করেন যিনি আল্লাহ ও রসুলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দেশ মেনে চলেন। কে ধনী, কে গরিব- সেটি তার কাছে গু’রুত্বহীন। বিশেষ করে যেসব গরিব মানুষ আল্লাহ ও রসুলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দেশ পালন করতে কষ্টকে বরণ করে নেয়, তাদের গু’রুত্ব স্রষ্টার কাছে অনেক বেশি।
তবে এ কষ্টের অর্থ নিজেকে নিঃস্ব করে ফেলা নয়। আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! কোন প্রকারের দান-খয়রাত উত্তম? রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, গরিবের কষ্টের দান। যাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তোমা’র ওপর তাদের থেকে দান-খয়রাত শুরু কর (আবু দাউদ থেকে মিশকাতে)।
অ’পরদিকে, রাসূল (সা.) আরো বলেছেন, ‘তোমর’া আল্লাহর চরিত্রে চরিত্রবান হও।’ অর্থাৎ আল্লাহ রহিম ও দয়াবান; আমর’াও অসহায় ও দুর্গতদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করব। আল্লাহ রাজ্জাক বা রিজিকদাতা, আমর’াও অনাহারীর মুখে অন্ন তুলে দেব।
হাদিসে আছে, ‘মুমিন বান্দারা উন্নত চরিত্রের দ্বারা গোটা রাত নামাজ আ’দায়কারী এবং সারা বছর রোজা পালনকারীর মর’্যাদায় অতি সহজে পৌঁছে যেতে পারে।’
আবু হুরায়রাহ ও হাকিম ইবনে হিজাম (রা.) থেকে বর্ণিত অ’পর এক হাদিস থেকে জানা যায়, তারা বলেন, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সচ্ছলতা বজায় রেখে যে দান-খয়রাত করা হয় তা-ই উত্তম দান। তোমা’র পোষ্যদের থেকে দান শুরু কর (বুখারি ও মুসলিম থেকে মিশকাতে।
যারা আল্লাহর কথা মত দান করেন এবং আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশ মেনে চলেন এমন চরিত্রবান মানুষই মহান আল্লাহ তালায়ার কাছে সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তি।