রাঙা প্রভাত ডেস্ক:- মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে করা মামলায় অন্তর্র্বতীকালীন রায় চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ঘোষণা করবে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)। গত সোমবার গাম্বিয়ার বিচার বিভাগ থেকে এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, নেদারল্যান্ডসের হেগে ওই মামলার শুনানি হয় ২০১৯ সালের ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা, ধর্ষণ ও নির্যাতন চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধরা। জীবন বাঁচাতে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।
ওই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)-এ মামলা করে গাম্বিয়া। মামলায় প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এবং রাখাইনে সংঘাত যেন আরো তীব্র না হয়, সে ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানানো হয়।
তবে গণহত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো লিডার অং সান সু চি। তার দাবি, এ ব্যাপারে মামলা পরিচালনার ক্ষমতা জাতিসংঘের আদালতের নেই। গণহত্যার অভিযোগ খারিজ করে দেওয়ার জন্য বিচারকের প্রতি তিনি আহ্বানও জানিয়েছেন। যদিও রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছেন সু চি।
এদিকে মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতির খোঁজ নিতে চূড়ান্ত সফরে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশে আসছেন জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার ইয়াংহি লি।
১৫ জানুয়ারি বুধবার থেকে তিনি ৯ দিনের সফর শুরু করছেন । মিয়ানমার সরকার ইয়াংহি লিকে ঢুকতে না দেওয়ায় তিনি থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে মিয়ানমার পরিস্থিতির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন।
জানা গেছে, বরাবরের মতো কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন ও আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে তিনি মিয়ানমারের পরিস্থিতি জানবেন। এছাড়া তিনি রোহিঙ্গাদের একাংশকে স্থানান্তরের জন্য প্রস্তুত ভাসানচরও পরিদর্শন করতে পারেন। আগামী ২৩ জানুয়ারি ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাঁর সফর শেষ হবে।
সূত্র : আল-জাজিরা