এস. এম মোস্তাফিজুর রহমান, ফুলতলা (খুলনা)।। ফুলতলা উপজেলার দামোদর মোড়ল পাড়ায় প্রেমঘটিত কারণে আছিয়া বেগম চুমকি (৩০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় নিজ বাড়ি থেকে তার অর্ধগলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন খুনি মোঃ হোসেন কাজী (২৯) কে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিসহ আটক করেছে পুলিশ। নিহত চুমকি দামোদর গ্রামের শহীদ মোড়লের স্ত্রী। তাদের ১২ বছরের দাম্পত্য জীবনে নুসরাত শারমিন নামের ৭ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
চুমকির স্বামী শহীদ মোড়ল জানান, স্ত্রীর মোবাইলে রিচার্জ করার জন্য পাশের দোকানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর আশেপাশের মানুষের চিৎকার শুনে ছুটে বাড়ি এসে দেখি আমার স্ত্রীর অর্ধগলাকাটা মরদেহ ঘরের ভেতরে পড়ে আছে।” খবর পেয়ে ফুলতলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। নিহতের পিতা তবিবুর রহমান শেখ জানান, তার কন্যা চুমকি স্বামীর পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন যাবত তাকে মানসিকভাবে যন্ত্রনার মধ্যে রাখত।
থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জেল্লাল হোসেন জানান, হত্যাকান্ডের পরপরই হোসেন কাজী নামের এক যুবককে চুমকির বাড়ির ছাদের পানির চৌবাচ্চার ভেতর থেকে ছুরিসহ আটক করা হয়। সে নড়াইল সদর উপজেলার উজিরপুর গ্রামের মৃত রেজা কাজীর ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিয়ের আগেই চুমকির সঙ্গে হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরও তাদের মধ্যে সম্পর্ক বজায় ছিল বলে এলাকাবাসীর দাবি। তবে সম্প্রতি ওই সম্পর্কে অবনতি ঘটলে ক্ষোভের বশে হোসেন চুমকিকে হত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মোঃ খায়রুল আলম, বি.পি.এম (সেবা) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ আরও জানায়, ঘটনাটি খুবই নৃশংস। প্রাথমিকভাবে এটি প্রেমঘটিত হত্যাকান্ড বলে ধারণা করা হলেও। তদন্ত চলমান রয়েছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফুলতলা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।