অশোক মুখার্জি, কলাপাড়া পটুয়াখালী।।। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক কাউছার হামিদ সরকারের খাস জমি, খাল ও জলাশয় কোনোভাবেই দখল, দূষণ বা পানির প্রবাহে বাধা দেওয়া যাবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বুধবার ২২ (অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) আয়োজিত ‘চিংগরিয়া খালের বিরাজমান পরিস্থিতি’ শীর্ষক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সতর্কবার্তা দেন।
ইউএনও কাউছার হামিদ বলেন, সরকারি খাল বা জলাশয় দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি শহরকে বাসযোগ্য রাখতে এসব খালে কোনো প্রকার বর্জ্য ফেলা যাবে না।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বেলা’র নেট মেম্বার মেজবাহউদ্দিন মাননু। স্বাগত বক্তব্য ও চিংগরিয়া খালের বাস্তব পরিস্থিতি নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন বেলা বরিশাল সমন্বয়কারী লিংকন বায়েন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিপিপির সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোকসেদুল আলম, প্রবীণ সাংবাদিক শামসুল আলম ও কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমল মুখার্জি।
উন্মুক্ত আলোচনায় সাংবাদিক সৈয়দ মো. রাসেল, মিলন কর্মকার রাজু, মোয়াজ্জেম হোসেন, নাহিদুল হক, সাংস্কৃতিক সংগঠক মোস্তফা জামান সুজন, এলাকাবাসী গাজী মো. রিয়াজ, আব্দুল খালেক ও দীপক চন্দ্র হাওলাদারসহ অনেকে অংশ নেন।
বক্তারা জানান, ৪০-৬০ ফুট প্রস্থ ও ৭-৮ ফুট গভীরতার চিংগরিয়া খালটি ৮০’র দশকে অবৈধভাবে কৃষি জমি দেখিয়ে লিজ দেওয়া হয়। এ লিজ বাতিলের দাবিতে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান। তারা দ্রুত লিজ বাতিল, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বাঁধ অপসারণ ও সরু কালভার্ট ভেঙে প্রশস্ত কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানান।
উপস্থিত সবাই খালের সীমানা নির্ধারণ করার কথা বলেন। উচ্ছেদের নামে শুধু ঝুপড়ি স্থাপনা অপসারণ নয়। বহুতল স্থাপনা আগে অপসারণ করতে হবে।’ কার্যকর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার আহ্বান জানান।