জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা)।। আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নে বাইতুল ফালাহ মহিষকুড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের জমি জবর দখল এবং পুকুর ও এলাকার পানি নিস্কাশন বন্ধের প্রতিকার চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারী মুসল্লি ও গ্রামবাসীর পক্ষে প্রতিকার প্রার্থনা করেছেন।
কমিটির সভাপতি মোঃ আমিনুর রহমান ও সেক্রেটারী মোঃ মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত মহির উদ্দীন মোল্যার ছেলে আফছার মোল্যা ও হারুন মোল্যা, হারুন মোল্যার ছেলে পলাশ মোল্যা, আফছার মোল্যার ছেলে আবারুল মোল্যাকে বিবাদী করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদনে জানাগেছে, মসজিদের নামীয় মহিষকুড় মৌজায় ৫ নং খতিয়ানে, ১৩১ দাগে (ডোবা) ৩২ শতক জমি রয়েছে। যা মসজিদের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। মসজিদের রেকর্ডীয় সম্পত্তির উপর বিবাদীরা জোর পূর্ব গৃহ নির্মান কাজ শুরু করেছেন। এছাড়া মসজিদের পুকুর ও মসজিদ সংলগ্ন এলাকার পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। পানি সরতে না পেরে বৃষ্টির পানির চাপে সরকারি ইটের সোলিংকৃত রাস্তা নষ্ট হতে বসেছে। ফলে মুসল্লিসহ এলাকার মানুষ মনজিদে যাতয়াতে প্রতিবন্ধকতায় ভুগছে। মসজিদের জমি জবর দখলে ধর্মপ্রান মানুষের মনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জবর দখলকারীরা কারো কোন বাধাকে তুয়াক্কা করছেননা।
মুসল্লিদের যাতয়াতের রাস্তা নষ্টের হাত থেকে রক্ষা, মসজিদের জমি অবৈধ দখলমুক্ত করা ও অবৈধ ভাবে অবকাঠামো নির্মানের মাধ্যম দখলকে মজবুত করার অপচেষ্টা রোধে প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। অবিলম্বে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক অবৈধ দখলদারদের দখলচ্যুত করা, মসজিদের সম্পত্তিতে মসজিদের ভোগদখলের সুযোগ করে দেওয়া এবং রাস্তার ক্ষতি প্রতিহত করে মুসল্লিদের যাতয়াতের পথের অবস্থা অটুট রাখার জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন। একদল সাংবাদিক সরেজমিন দেখতে গেলে মসজিদ কমিটির সভাপতি আমিনুর রহমান, স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্তার হোসেনসহ বহু মুসল্লি ঘটনার সত্যতা শিকার করে বক্তব্য দেন এবং সকলে মসজিদের জমি উদ্ধারে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।



