বরিশাল অফিস :- বছর শেষে বাস ও লঞ্চে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের জন¯্রােত বলে দিতো ঈদের আগমনী বার্তা। পথে পথে ভোগান্তি জানা সত্বেও প্রতিবছর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে আপনজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে লাখ লাখ মানুষের আগমন ঘটতো বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে।
প্রতিটি ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের চাঁপ সামলাতে বিশেষ সার্ভিসের নামে ডাবল ট্রিপের ব্যবস্থা করা হতো নৌ-পথে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময় সূচি ছাড়াই সড়কে চলাচল করতো পরিবহনগুলো। এজন্য ঈদের কমপক্ষে ১৫ দিন আগেই শুরু হতো প্রস্তুতি। এবার বৈশ্বিক মহামারি করোনা দুর্যোগ এলোমেলো করে দিয়েছে ঈদের সকল প্রস্তুতি। তাই আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরে নাড়ির টানে ঘরে ফেরার সেই যুদ্ধ আর আনন্দ থাকছে না মানুষের মধ্যে।
কারণ একদিকে লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন থেকে দক্ষিণাঞ্চলের নৌ-পথে বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল। গণপরিবহন চলাচলের বিষয়ে হয়নি কোন সিদ্ধান্ত। এরমধ্যে ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে অন্য জেলায় অবস্থানরতদের বরিশাল জেলায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সোমবার রাতে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলের মাধ্যমে বরিশালের চৌকস জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানের স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ, শেখ হাসিনা সেনানিবাস, র্যাব-৮, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন জেলা থেকে বরিশাল জেলার অভ্যন্তরে জনসমাগম না করা বিষয়ক ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গত ৪ মে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধকল্পে জনগণকে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থানসহ এক জেলা, উপজেলা থেকে অন্য জেলা ও উপজেলায় চলাচলের নিষেধাজ্ঞার নির্দেশনা রয়েছে।
উক্ত নির্দেশনার আলোকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসন্ন ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ঢাকাসহ অন্যান্য জেলা থেকে সড়ক ও নৌ-পথে বরিশাল জেলায় এবং এ জেলার অভ্যন্তরে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় জনসাধারণ যাতে আগমন এবং প্রস্থান না করতে পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ করা হয়েছে।