রাঙা প্রভাত ডেস্ক :- কুমিল্লার মীরসরাই উপজেলার ৫নং ওচমানপুর এলাকায় বাড়ির উঠোনে মরদেহ পড়ে থাকলেও পাশে ভীড়ে নি স্বজনরা। দিনভর একটি খাটিয়ায় মরদেহ পরে থাকলেও করোনা আতঙ্কে বরং বাড়ি ছেড়েই চলে যায় স্বজনরা।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, কুয়েত ফেরত সালেহ আহমদ চট্টগ্রামে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে থাকতেন। মঙ্গলবার রাতে তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। বুধবার ভোর রাতে স্ট্রোক করে মৃতুবরণ করেন তিনি। এ খবর শুনে বাড়ির স্বজনরা লাশ ফেলেই চলে যায়। পরে মৃতের বড় ভাই একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ নিয়ে যান মিরসরাই গ্রামের বাড়িতে। কিন্তু সেখানেও লাশ বাড়ির আঙিনায় রাখতেই একে একে বাড়ি ছেড়ে চলে যান স্বজনরা। পড়ে বৃদ্ধ বড় ভাই অসহায় হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে লাশ পড়ে থাকার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এগিয়ে আসে “শেষ বিদায়ের বন্ধু” নামের একটি সংগঠন। পরে তারাই লাশ দাফন করে।
এ বিষয়ে “শেষ বিদায়ের বন্ধু” সংগঠনের সমন্বয়কারী কমফোর্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিজাম উদ্দিন জানান, লাশের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। মৃতের ভাইয়ের সহযোগীতায় আমরা ধর্মীয় রীতি অনুসারে লাশ দাফনের উদ্যোগ নিই। কিন্তু এ সময় কোনো স্বজনই পাশে ছিলেন না।