রফিকুল ইসলাম রনি, বরিশাল থেকে :- দুরত্ব পথ বলে পায়ে হেঁটে চলাচল সম্ভব নয়। যানবাহনে চলাচল করতে হয়। ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুন টাকা দিয়ে লক্কর-ঝক্কর সড়কটি দিয়ে যানবাহন যেতে হয় । আর একটু বৃষ্টি হলে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি পরিণত হয় অবহেলিত কোনো মফস্বলের সড়কে। ইচ্ছে করলে চাষ দিয়ে ধান রোপণও করে ফেলা যায়। এমন অবহেলিত জন গুরুত্বপূর্ন সড়কটি হলো বরিশাল গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর-সরিকল সড়ক।
বাটাজোর বন্দর থেকে সরিকল প্রায় ৮ কিলোমিটার মিটার সড়কের বেহাল দশা গেল ৬-৭ বছর ধরে। সড়কটির অধিকাংশ স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বৈরী মৌসুমি আবহাওয়া বৃষ্টির পানিতে সড়কের অধিকাংশ গর্তগুলো পানিতে ভরে থাকে। ফলে দূর্ঘটনার শিকার ভোগ করতে হয় যানবাহনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের। বর্তমান সরকারের আমলে কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি সড়কটিতে ।
সড়কটির উপর দিয়ে বরিশাল-সরিকল রুটে দিবা-রাত্রী প্রতিনিয়ত চলাচল করে যাত্রীবাহি বাস সহ ভারি পন্যবাহী ট্রাক। বরিশাল শহর কিংবা রাজধানীর উদ্দেশ্যে বাটাজোর যেতে প্রতিদিন এই সড়কে সহস্রাধিক মানুষ যাতায়াত করে।
এই সড়কের পাশে রয়েছে রাবেয়া ফজলে করিম মহিলা কলেজ, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিভিন্ন স্থানে জামে মসজিদ ও ছোট ছোট বাজার।
সড়কটির খানাখন্দ গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকে ফলে দূর্ঘটনার শিকার ভোগ করতে হয় মোটোর সাইকেল ও মিসুক, অটোতে আরোহী যাত্রীদের। মোটর সাইকেল, প্রাইভেটকার, মিনি পিকাপ, মিশুক এ সকল যানবাহন সড়কের গর্তের খাদে পরে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
সাকোকাঠি, সাহাজিরা, আধুনা, চন্দ্রহার বাজার, বাটাজোর কাটাগাছ তলা সহ বিভিন্ন স্পটে ছোট বড় অসংখ খানাখন্দ রয়েছে।
তাছাড়া সরিকলের ঋষি বাড়ি সংলগ্ন স্থানটির অবস্থা করুন। যাত্রীবাহি যানবাহন চলাচলে করে ঝুকি নিয়ে। কয়েক দিন আগে ওই স্থানেই বরিশাল গামী বাসের চাকা ¯িøপকেটে খাদে পড়ে যায়। তাই চাষ ছাড়াই ধান রোপন করা যাবে কর্দমাযুক্ত স্থানটিতে।
আর ওই স্থানে মারাক্ত দূর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশাক্ষা করা যাচ্ছে। বৃষ্টিকালিন পানি সড়কটিতে জমে থাকায় চালকগন চলন্ত যানবাহন নিয়ন্ত্রন রাখতে অসক্ষম হয় । গতাকাল সড়কটি ঘুরে দেখার সময় সরিকল গ্রামের এক ভদ্রলোক ক্ষোভের সঙ্গে বলেন সড়কটি এখন মরন ফাঁদ দূর্ঘটনার বড় শিকার হতে পারে বরিশালগামী যাত্রীবাহী বাস গুলো।
মিশুক চালক ও মোটোর সাইকেল আরোহীরা জানায় আমরা আমাদের ছেলে মেয়েকে দু’মুঠো ভাত মুখে তুলে দেবার জন্যই এ সড়কটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হই। তাই ভুক্তভোগীরা কতৃপক্ষের কাছে অতি শিগগিরই সড়কটি সংস্কারের জন্য অনুরোধ করেছে। সড়কটি দিয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নেরও মুলাদৗর উপজেলার শেষ প্রান্তের নাজিরপুর ইউনিয়নের সহ¯্রধীক লোকজন বরিশালের উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে।
সচেতন মহলের লোকজন মনে করেন, হাটে এ্যাটাক বা কোনো গর্ভবতী নারীকে এই সড়ক দিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হলে বিপদ নেমে আসবে নিশ্চিত।
এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় এবং মিডিয়া চ্যানেলে সংবাদ প্রকাশ করা হলেও মেলেনি কোনো সাড়া। গ্রীষ্মকালীন সময়ে সড়কটি সংস্কার করা না হলেও এ বর্ষ মৌসুমে সড়ক মেরামত করা হবে বলে জানায় জনপ্রতিনিধিরা।
একাধিক এলাকাবাসি জানায়, গত বর্ষা সেজনের চেয়ে সড়কে খানাখন্দ বেশি থাকায় সড়কটি দিয়ে আমরা চলাচল করতে পারি না। বৃষ্টি হলে এই সড়কে যাওয়া ছেড়ে দেই।
এব্যাপারে সরিকল ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক হোসেন মোল্লার সাথে কথা হলে তিনি জানায়, দক্ষিণ বাংলার আওয়ামী লীগের অভিভাবক জনাব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি‘র একান্ত প্রচেষ্টায় সড়কটির সংস্কারের কাজ টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন আছে। চলতি বছরেই এ সড়কের কাজ শুরু হবে।