বরিশাল অফিস :- নগরীর আহম্মেদ মোল্লা সড়কের হুমা গ্রæপের উত্যক্ত, অত্যাচার, মাদক ব্যবসা পরিচালনা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ২৫নং ওয়ার্ডবাসী। হামলা-মামলা ও নির্যাতনের ভয়ে কেহই মুখ খুলতে চায়না স্থানীয় হুমায়ুন সিকদারের পরিচালিত হুমা গ্রæপের বিরুদ্ধে। এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে বাঁচতে রবিবার দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে হুমা গ্রæপের বিরুদ্ধে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, নগরীর আহম্মেদ মোল্লা সড়কের বাসিন্দা জাকির হোসেন। এসময় ওই এলাকার কামরুল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, হাফেজ মোঃ ফজলুল হক, ফোরকান মিয়া, রহিম খানসহ ২০/২৫ জন ভুক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ রূপাতলীর ২৫নং ওয়ার্ডের আহম্মেদ মোল্লা সড়কে চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং, জুয়া ও মাদকের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে দুই ভাই মোঃ রাকিব সিকদার ও মোঃ রাতুল সিকদার। রাকিবের নেতৃত্বে ওই এলাকায় প্রতিনিয়তই জুয়া ও মাদকের হাট বসে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে অপমান, অপদস্ত, এমনকি হত্যার হুমকি প্রদান করা হয়। সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী রাকিবের ছোট চাচা হুমায়ুন সিকদার স্থানীয় এক কথিত নেতার পরিচয়ে নানা অপকর্ম করে আসছে। হুমায়ুন সিকদারের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা রয়েছে।
বেশ কিছুদিন পূর্বে এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারেক হাওলাদার ও তার পরিবারকে। সম্মান হারানোর ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলছেনা। স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ কামরুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে তাকে হত্যার উদ্যোশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে জখম করা হয়। একই সাথে তার দোকানের টাকা ও মালামাল লুট করে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কামরুল ইসলাম বাদি হয়ে গত ৫ জুন কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। কোতয়ালী থানা পুলিশ মামলার তদন্তে এলাকায় আসলে সন্ত্রাসীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়।
ভুক্তভোগীরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হুমা গ্রæপের উত্যক্ত, অত্যাচার, মাদক ব্যবসা পরিচালনা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের হাত থেকে রেহাই পেতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।