নিজের ঢোল নিজে পিটিয়ে কখনো নিজেকে জাহির করার অভ্যাস আগে কখনো ছিলোনা আর এখনো নেই । তাই সাংবাদিকতা নামের এই মহান পেশার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি – মূল ধারার সাংবাদিকতা ফিরে আসুক ঐতিহ্যবাহী বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের নির্বাচনে।
সাংবাদিকতা করার এখন কোন প্রকার শিক্ষাগত যোগ্যতা কিংবা মানসিক দক্ষতার প্রয়োজন হয় না৷ ফেইসবুকে দুই পাতা লেখলেই পরের দিন সাংবাদিক। আগেকার দিনে সাংবাদিকদের সার্টিফিকেট আলাদাভাবে যাচাই করা হতো। এখন যাচাই হয় না, কম্পিউটার দোকান থেকে ভূয়া সনদ বানিয়ে কালার প্রিন্ট করে জমা দিলেই শিক্ষিত হিসেবে গণ্য করা হয়।
এখন আর শব্দ চয়ন, বাক্য গঠন, বাংলা ও ইংরেজির সমন্বয়, মানসিক দক্ষতা, সেন্স অফ হিউমার, পড়াশোনা লাগে না, একটা মোবাইল ক্যামেরা আর স্ট্রিম ইয়ার্ড হইলেই চলে।
আমাদের বাবুগঞ্জে সাংবাদিকতা পেশায় অনেকে নিজেকে সাংবাদিক নেতা ও পেশাদার বলে দাবী করেন।
কিন্তু তাদের দ্বারা প্রকৃত সাংবাদিকরা পেশার ক্ষেত্রে কিংবা ব্যাক্তিগত ক্ষেত্রে কতটুকু উপকৃত হচ্ছেন তা আমার জানা নেই।
সাংবাদিক হুমায়ুন কবির ভাইয়ের অকাল প্রয়ানে তরুন ও উদীয়মান সাংবাদিকরা যখন অভিভাবকহীন তখন এ অসময়ে হুমায়ুন কবির ভাইয়ের শুন্যতা পুরন করার চেষ্ঠা করছেন অ-সদালোপী মানুষ বলে পরিচিত শাহজাহান খান ভাই। হুমায়ুন ভাইয়ের শুন্যতা পুরনের চেষ্ঠার জন্য শাহজাহান ভাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অনেকে আমার লেখা পরে ভাববেন শাহজাহান খান ভাই হয়তো আমার অনেক উপকার করেছেন কিংবা কোন ধরনের উপকার করবেন বলে প্রতুশ্রুতি দিয়েছেন ।
আসলে তা কিন্তু নয়। তিনি আমার তেমন কিছু করেন নি। কিংবা করবেন এমন প্রতুশ্রুতিও দেন নি । কিন্তু এমন সময়ে কেন তাকে নিয়ে এভাবে লিখলাম তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে।
আমি বলতে চাই ভালোকে ভালো আর মন্দকে মন্দ না বললে ভালো মন্দের বিচার হবে না। ভালো লোকগুলো ভালো কাজে নিরুৎসাহিত হবেন। আর কিছু না পারি ভালোকে অন্তত ভালো বলি এবং তাদের কাজের স্বীকৃতি দেই।
এ বছর সভাপতি পদে প্রার্থী শাহজাহান খান ভাই এর প্রতি রইল অবিরাম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা ।
অন্যদিকে, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমার দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী একজন জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম অপরজন বরিশালের কথা ও একটি অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম । বলতে পারি এই দুই প্রার্থীই হেভিওয়েট । এরা দুজনই আইনের ছাত্র । একজন আইন পাস করে কাজ করছেন অন্য জন পরীক্ষা দিয়ে রেজাল্ট এর অপেক্ষা করছেন ।
পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে এরা সংবাদের পিছনে ছুটে ফেরেন সব সময়ই । এই দুই জনের মধ্যে হাড্ডা – হাড্ডি লড়াই হবে বলে আভাস পাওয়া গেছে । অবিরাম ভালোবাসা রইলো এদের প্রতি ।
সাংবাদিক নেতা হিসেবে নয় সঠিক নেতৃত্ব দিতে ফিরে আসুক ঐতিহ্যবাহী বাবুগঞ্জ প্রেসক্লাবে।
আমি বিশ্বাস করি পরিবর্তন সম্ভব, পরিবর্তন আসবেই।
##########
✒✒✒✒✒
লেখক — আরিফ হোসেন
সাবেক সাধারণ সম্পাদক
বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব – বরিশাল
মোবাইল -০১৭৫৯৮০৫৫৩৯।
ইমেইল – avivamarket123@gmail.com