ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি, পাবনাঃ- বনবনাবনবদীর্ঘদিন ধরে নিজস্ব চেম্বার খুলে চক্ষু চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগীদের ব্যবস্থাপত্র লিখে দিতেন আলমগীর হোসেন (সনদ পত্র ছাড়াই)। তার পরও শুধু তাই নয়, লোক রেখে ওই চেম্বার থেকেই ওষুধও বিক্রি করাতেন।
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় পৌর সদরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে এভাবে নিয়মিত চিকিৎসা চালিয়ে আসছিলেন তিনি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জিরো পয়েন্ট এলাকায় নিজস্ব চেম্বার খুলে চিকিৎসক না হয়েও তিনি রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কথিত চক্ষু চিকিৎসক আলমগীর হোসেনের চেম্বারে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় মেডিকেলে পাস না করেও রোগীদের ব্যবস্থাপত্র লেখা ও অনুমোদনহীন ওষুধ সংরক্ষণের দায়ে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০-এর ধারা ২২ উপধারা ১-এর শর্ত ভঙ্গ করায় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে পনেরো দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে জরিমানার টাকা দিয়ে মুক্ত হন দণ্ডপ্রাপ্ত আলমগীর হোসেন।
অভিযান পরিচালনার সময় পাবনা জেলা এনএসআইর সহকারী পরিচালক এইচএন ইমরান, চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রুহুল কুদ্দুস ডলারসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রুহুল কুদ্দুস ডলার জানান, আলমগীর হোসেন শুধু চোখের পাওয়ার মেপে চশমার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন।
কিন্তু তিনি রীতিমতো চেম্বার খুলে আয়ুর্বেদিক, এলোপ্যাথি ওষুধের ব্যবস্থাপত্র লিখে দেন। তার সনদ যোগ্যতা অনুযায়ী সেটি করতে পারেন না বলে জানান তিনি।