নওগাঁয় ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে হু হু করে পানি প্রবেশ অব্যাহত থাকায় এখন প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের আত্রাই নদীর ৬টি পয়েন্টে ও ছোট যমুনা নদীর কয়েকটি স্থানে রেরী বাধ ভেঙে জেলার রানীনগর, আত্রাই ও মান্দা উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এতে এই তিন উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক মানুষ এখন পানিবন্দি। এসব এলাকার প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। ভেসে গেছে শত শত পুকুরের কোটি কোটি টাকার মাছ। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ এখন উঁচু স্থানে, সড়ক, বেড়িবাঁধ ও আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। আবার কেউ পানিতে নিমজ্জিত বাড়ির পাশেই নৌকায় অবস্থান করছেন। এসব এলাকায় এখন বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবারসহ গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে, আত্রাই ছোট যমুনা ও ফকির্নি নদীর কয়েকটি অংশে বাধঁ ভেঙে যাওয়ায় নওগাঁর মান্দা-আত্রাই, বান্দাইখাড়া-আত্রাই, নাটোর- সিংড়া- আত্রাই আঞ্চলিক সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসক বানভাসীদের মাঝে ১৩৫ মেট্টিক টন চাল ও নগদ ২ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকা বিতরন করেছেন।