নওগাঁ প্রতিনিধি ঃ নওগাঁ সদরে এক ইটভাটা থেকে জোর পূর্বক ইট অবৈধভাবে ইট নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনায় ইটভাটার মালিক মোস্তাক আহমেদ থানায় অভিযোগ করেছেন।
গত ১৬ জুলাই সকাল ৮টার দিকে উপজেলার হাঁপানিয়া ইউনিয়নে নারচি গ্রামে মেসার্স ওবিসি বিক্স ফিল্ড ইটভাটা থেকে ইটগুলো নেয়া হয়। অভিযুক্তরা হলেন, দুবলহাটির পিরোজপুরের এনামুল হক, তারতা গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে চঞ্চল হোসেন, ইয়াদ আলীর ছেলে জামাল হোসেন, নারচি গ্রামের বাবুল (হোপা)সহ অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নারচি গ্রামের মোস্তাক আহমেদ দীর্ঘদিন থেকে ইটভাটার ব্যবসা করে আসছেন। ব্যবসার সুবাদে অভিযুক্তদের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে সস্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সুবাদে এনামুল হক ও চঞ্চল হোসেনের নিকট হতে ব্যবসার জন্য কিছু টাকা হাওলাদ নেন মোস্তাক। এর কিছুদিন পর থেকে পাওনাদাররা মোস্তাকের নিকট দেয়া হাওলাদের টাকা ফেরত চাওয়া হয়। কিন্তু মোস্তাক টাকা পরিশোধের জন তাদের নিকট থেকে সময় চেয়ে নেন।
এমতাবস্থায় গত ১৬ জুলাই সকাল ৮টার দিকে অভিযুক্তরা ইটভাটায় অনধিকার প্রবেশ করে ভাটার পশ্চিম পার্শ্বের দেয়াল ভেঙে ট্রাক্টর দিয়ে প্রায় ২০ হাজার ইট নিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানার পর মোস্তাক ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধা দিলে অভিযুক্তরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা মারপিট করার উপক্রম হলে মোস্তাক সেখান থেকে চলে আসেন। পরে ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ গিয়ে ইট নিয়ে যেতে নিষেধ করা হলে অভিযুক্তরা চলে যান।
এব্যাপারে অভিযুক্ত এনামুল হক ও চঞ্চল হোসেন বলেন, ইটের ব্যবসা করার শর্তে মোস্তাক আহমেদকে টাকা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি টাকা এবং ইট কিছুই দেননি। প্রায় দুই বছর ধরে তিনি সময় ক্ষেপন করছেন। এছাড়া ইটভাটাটি আমাদের নামে দলিল করে দেয়া হয়েছে। আর ভাটার মালিক হওয়ার সুবাদে আমরা ইট নিয়ে আসছি। ভাটা আমাদের নামে এগ্রিমেন্ট আছে অথচ উল্টো তিনি আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন ইটভাটার মালিক মোস্তাক হোসেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সঙ্গে সঙ্গে টহল পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হয় যে তাদের মধ্যে টাকা পয়সা নিয়ে একটা ঝামেলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।