মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় কেন্দ্র) কাজী তাসমীন আরা আজমিরী জানান, বন্যায় ইতোমধ্যে এক মাস পূর্ণ হচ্ছে। বিভিন্ন জেলা থেকে ৩৫ জনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছেন তারা। এর মধ্যে শুধু জামালপুরেই মারা গেছেন ১৫ জন, যেখানে ১১ জনই শিশু। কুড়িগ্রামে মারা গেছে নয় শিশু। এ ছাড়া সুনামগঞ্জে তিনজন, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জে দু’জন করে এবং লালমনিরহাট, সিলেট, মুন্সিগঞ্জ ও গাইবান্ধায় একজন করে মৃত্যুবরণ করেছেন।
এদিকে, উত্তর, পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলের মতো ঢাকায়ও নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। মহানগরীর আশপাশের নদীগুলোতে পানি ক্রমেই বাড়ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্থিতিশীল হতে পারে। তবে মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, ঢাকা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নাটোর ও নওগাঁ জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
পাউবোর পর্যবেক্ষণে সামগ্রিকভাবে নদনদীর পানি হ্রাসের প্রবণতা দেখা গেছে। তবে শনিবারও ২৭টি পয়েন্টে নদনদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছিল। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, আত্রাই এবং তিতাসের পানি প্রতিদিন বাড়ছে। পদ্মা, যমুনা, ধলেশ্বরী, আত্রাইয়ের পানি বিপদসীমার ১০০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছে।