বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভারতীয় গরু আনার ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা আর স্থলসীমান্তে কড়াকড়ি নজরদারি থাকার পরেও নদীপথে অভিনব কৌশলে গরু পাচার করছে কুড়িগ্রামের চোরাকারবারীরা। বানের পানিতে কোরবানির পশু কলাগাছের সাথে বেঁধে সীমানা পাড়ি দিয়ে নিজদেশে নিয়ে আসছে তারা। আর পাচার হয়ে আসা এসব গরু স্থানীয় হাট-বাজারে ওঠায় দাম কমছে দেশি গরুর।
দুপাশে কলাগাছ বেঁধে গরু ভাসিয়ে সীমান্ত পার করে দিচ্ছে ভারতীয় চোরকারবারীরা। আর এদিকে নদীর স্রোতে ভাসিয়ে দেয়া এসব গরু ধরে নৌকা কিংবা শুকনোয় তুলছে এপারের চোরাকারবারীরা। পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কুড়িগ্রামের গঙ্গাচর ও ব্রহ্মপুত্র নদের বেশ কিছু সীমান্ত এলাকা।
এলাকাবাসীরা বলেন, সীমান্তে পাহারা আছে তারপরেও চোরাকারবারীরা গরুগুলো নিয়ে আসছে। যখন ভারত থেকে ফোন দিয়ে বলে গরু ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তখন তারা নদীতে গিয়ে গরুগুলো তুলে নিয়ে আসে।
কুড়িগ্রামের নারায়ণপুর ইউনিয়নের আইড়মারী, বালাবাড়ি, যাত্রাপুর ইউনিয়েনের দই খাওয়া চর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতের আসাম থেকে প্রবেশ করেছে ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গাধর নদী।
পাচার হয়ে আসা এসব ভারতীয় গরু বিক্রির জন্য উঠছে স্থানীয় হাটবাজারে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশি-খামারিরা।