এখানে উল্লেখ্য যে অনেকেই হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোককে গুলিয়ে ফেলেন। হার্ট অ্যাটাকের মত স্ট্রোককেও (Stroke) হৃৎপিণ্ডের অসুখ বলে ধরে নেন। আসলে তা নয়। স্ট্রোক হৃৎপিণ্ডে হয় না, স্ট্রোক (Stroke) হয় মস্তিষ্কে।
আসুন এবার একটু মনোযোগ দিয়ে স্ট্রোকের সেই লক্ষণগুলো জেনে নেই
১. উচ্চ রক্তচাপ
অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের (Stroke) মত গুরুতর দুর্ঘটনার জন্ম দিতে পারে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে মস্তিষ্কের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং রক্তনালীগুলোকে অতিরিক্ত চাপ সামলাতে হয়। শুধু তাই নয়। মস্তিষ্কের রক্তনালীগুলো ফেটে মাথার ভেতরে রক্তক্ষরণ জনিত স্ট্রোকে (Stroke) মানুষ মারাও যেতে পারে।
পড়ুন স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে আপনার করনীয়
২. দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া
স্ট্রোক হওয়া আগে আপনার দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পেতে পারে। আপনি দূরের জিনিস দেখতে সমস্যায় পড়তে পারেন বা সবকিছু ঘোলা ঘোলা দেখতে পারেন। যুক্তরাজ্যে এক জরিপে অংশ নেওয়া ১,৩০০ স্ট্রোকের (Stroke) আক্রান্ত রোগী স্ট্রোকের (Stroke) আগে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।
৩. হাত, পা বা চেহারা অবশ হওয়া
Baby Grows Step by Step During Pregnancy Time – First Trimester By Bangla Health Tips
স্ট্রোকের আগে আগে দেহের এক পাশের বা উভয় পাশের হাত পা অবশ অবশ অনুভব হতে পারে। একই ঘটনা মুখমণ্ডলেও ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
৪. মাথা ঘোরা বা অকারণে ক্লান্তি অনুভব হওয়া
এক গবেষণায় দেখা গিয়ে, স্ট্রোক (Stroke) হওয়ার আগে প্রায়ই মাথা ঝিম ঝিম বা মাথা ঘোরাতে পারে। পাশাপাশি আপনাকে বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিধান্বিত দেখাতে পারে।
৫. হঠাৎ হঠাৎ তীব্র মাথা ব্যথা
স্ট্রোকের আগে রক্তনালী সরু হয়ে যায়। স্ট্রোক (Stroke) যত ঘনিয়ে আসে রক্তনালী দিয়ে রক্তপ্রবাহ তত বাঁধাগ্রস্ত হয়। ফলে মস্তিষ্ক তার প্রয়োজনীয় পরিমাণ অক্সিজেন বঞ্চিত হয় এবং তার প্রতিক্রিয়ায় প্রায়ই তীব্র মাথা ব্যথা দেখা দেয়।
পড়ুন হঠাৎ কেউ স্ট্রোক করলে কি করবেন? জীবন বাচাতে পারেন আপনিও, পদ্ধতি জেনে নিন!
৬. ঘাড় বা কাঁধের ব্যথা
যদি প্রায়ই আপনার ঘাড় এবং কাঁধে ব্যথা হয় তাহলে সতর্ক হোন। দ্রুত ডাক্তার দেখান।
যারা স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকিতে আছেন
১. যাদের রক্তচাপ ১৪০/৯০ mHg বা তার বেশি।
২. যাদের বয়স বেশি।
৩. যারা ধূমপান করেন।
৪. যাদের ডায়াবেটিস আছে।
৫. যারা হৃদরোগে আক্রান্ত।
অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়
১. অ্যালকোহল এবং মাদকদ্রব্য গ্রহণ,
২. স্থূলতা,
৩. তেল চর্বিযুক্ত খাবার বা ফাস্টফুড,
৪. বিষণ্ণতা,
৫. কায়িক পরিশ্রমের অভাব,
৬. কোনো নিউরোলজিক্যাল সমস্যা।