রাঙা প্রভাত ডেস্কঃ মালিবাগ এসবি অফিস হতে রেশন তুলে ফেরার পথে রাজারবাগ-বাংলামোটর ফ্লাইওভারের উপর দুইজন বাইকার হাত ইশারা করতেই বাইক পার্কিং করে দ্রুত নেমে আসি। এসে দেখি একজন লোক বাইক অ্যাকসিডেন্ট করে ফ্লাইওভারের উপর পরে আছে।আমার বাইকে রাখা পানির বোতল এনে নাকমুখে ছিটানোর মধ্যেই আরও একজন পানি নিয়ে এসে মাথায় পানি ঢালতে থাকে। বাইকার ভাই জানান প্রায় আধাঘন্টা আগে লোকটি অ্যাকসিডেন্ট করে।তারা সিএনজি, প্রাইভেট কার থামানোর অনেক চেষ্টা করেছেন।কেউ থামায়নি,এমনকি খালি সিএনজিও দেখে চলে গেছে।এরপর সাথে সাথে সিগন্যাল দিয়ে একটা সিএনজি থামাই।সিএনজিতে দুইজন যাত্রী থাকায় তাদের অনুরোধ জানিয়ে সিএনজি হতে নামতে বলি।আহত লোকটির সাথে থাকা আরেকজনকে বাড়িতে ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে আসতে বলে তাকে সহ আহত ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই।সিএনজি থামিয়ে তুলে দিতে দিতেই ফ্লাইওভারে যানজটের সৃষ্টি হয়।এরপর রাস্তা ক্লিয়ার করে সিএনজি হতে নামানো দুইজন যাত্রীকে আরেকটা সিএনজিতে তুলে দেই। তাদের সাথে কথা বার্তা শেষ হওয়ার পরে আহত ব্যক্তির শ্যালকের হাতে বাইকের চাবি তুলে দেই।তার আগে সঠিক লোকের হাতে দিছি কিনা সেটা বুঝতে মোবাইলে নম্বর যাচাই করার পর নাম ঠিকানা নোট করে চাবি হস্তান্তরের ছবি তুলে রাখি।
এটা আমার নিয়মিত দায়িত্ব।শো অফ করার জন্য এই পোস্ট দেয়া না।আজ এই কাজের জন্য কমপক্ষে ত্রিশ জন মানুষের ধন্যবাদ পাইছি।দুইটা পুলিশ টহল টিম আসার পর স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে লোকজন বলাবলি করছিলো ভাই/স্যার থাকায় অনেক উপকার হইছে।আল্লাহ উনার মঙ্গল করুক।শুনে বুকটা গর্বে ভরে গেলো।১ বছরের ট্রেনিং শেষে ৭ মাস চাকরি জীবন অতিবাহিত কালে কারো সামান্যতম ক্ষতি করিনি।তবুও আকার ইঙ্গিতে ইনিয়ে বিনিয়ে খারাপ কথা বলতে শুনেছি,কটুক্তি করতে দেখেছি।মাঝে মাঝে খারাপ লাগতো,খুব হতাশ হতাম।আজ সকল দুঃখ কষ্ট লাঘব হলো। মানুষের এ ভালোবাসা আর দোয়াই সঠিক পুলিশিং করতে সাহায্য করবে।মানুষের জন্যই কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
ডিএমপির কামরাঙ্গীর চর থানায় কর্মরত এই পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর এর নাম কাওসার আহমেদ। জন্ম বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায়।