কামরুল হাসান সোহাগঃ দুনিয়ায় আজ যত সফল রাষ্টনায়কদের নাম উচ্চারিত হয় তার মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অন্যতম। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও সকল বৈষম্য অসঙ্গতির বিরুদ্ধে তার নেতৃত্ব আজ বিশ্বব্যাপি প্রশংসিত। শেখ হাসিনা আজ উন্নয়নের রোল মডেল।
বাংলাদেশ এর মতো এত ছোট দেশ শত প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তার নেতৃত্বে যেভাবে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে তা এক কথায় বিরল। বাংলাদেশ আজ একটি উন্নয়নশীল দেশ। বিগত এক দশকে বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়েই আমাদের রপ্তানি আয় ও বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
১৯৯১ সালে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ছিল ৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ২২ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। অতিদারিদ্র্যের হার ৭ দশমিক ৯ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা একজন সাহসী নারি প্রধানমন্ত্রী। বাঙ্গালীর সাহসের বাতিঘর খ্যাত সময়ের বীর। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন- ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত সোনার বাংলা তৈরির, তার ফলশ্রুতিতে তিনি বিদেশ থেকে শত বৈরিতা সত্ত্বেও, জীবনবাজি রেখে দেশে ফিরে এসে হাল ধরেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর। একের পর বাধা, চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে শেখ হাসিনা তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছেন বিশ্ব মঞ্চের এক অনন্য উচ্চাতায়। অর্থনৈতিকভাবে আজ বাংলাদেশ যেমন শক্তিশালী তেমনই বৈশ্বিক রাজনীতিতে বাংলাদেশের প্রভাবও এখন অনেক। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দারিয়েছে বাংলাদেশ। তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্ব উন্নয়নের রোল মডেল।
তরুণ প্রজন্মকে সাথে নিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বানিয়েছেন “ডিজিটাল বাংলাদেশ”। রুপকল্প ২০২১ এর যে রুপরেখা তিনি দিয়েছিলেন তা আজ বাস্তব।
আজ ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করা বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ কন্যা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৪’তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন আপা।
লেখক-
আওয়ামী যুবলীগ- বাকেরগঞ্জ উপজেলা শাখা।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক- সম্ভাবনার কলসকাঠী
সহ-সম্পাদক- ডেইলি রাঙা প্রভাত।