নারীদেরও স্নাতক হতে হবে
বিশেষ প্রতিবেদক।। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩২ হাজার ৫৭৭ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি গতকাল সোমবার প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিজ্ঞপ্তির বিস্তারিত (http://dpe.teletalk.com.bd) এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে।
নতুন নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী এবারই প্রথম স্নাতক পাস ছাড়া আবেদন করতে পারবেন না নারী প্রার্থীরা। পুরুষ প্রার্থীদের আবেদনের যোগ্যতা আগের মতোই স্নাতক থাকছে।
গতকাল প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদ এবং জাতীয়করণ করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিডিইপি-৪-এর আওতায় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য রাজস্ব খাতে সৃষ্ট সহকারী শিক্ষক পদে জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫-এর ১৩তম গ্রেডে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হবে। তবে তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার প্রার্থীরা এতে আবেদন করতে পারবেন না।
সহকারী শিক্ষকদের বেতন হবে জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫-এর গ্রেড ১৩ অনুযায়ী ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা। অনলাইনে আবেদন নেওয়া শুরু হবে ২৫ অক্টোবর সকাল ১০টায়, শেষ হবে ২৪ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে। আবেদন ফি ১১০ টাকা।
প্রার্থীদের বয়স ২০ অক্টোবর সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং গত ২৫ মার্চ সর্বোচ্চ ৩০ বছর। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে হবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩২ বছর। শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা সম্মান বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।
‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯’ অনুযায়ী এই নিয়োগ হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৮ হাজার ১৪৭ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।
সম্প্রতি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা এক বছরের বদলে দুই বছর করার অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বছর থেকে এর পাইলটিং শুরু হবে। ২০২৩ সাল থেকে চালু হবে দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক। তখন ৬৫ হাজার ৬২০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আরো একজন করে সহকারী শিক্ষক ও একজন করে আয়া নিয়োগ করা হবে।
এ ছাড়া সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টির প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকেই এই পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে। এতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন করে ৬৫ হাজার ৬২০ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হবে। ফলে প্রাথমিকে আগামী দিনেও আরো বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসছে।