বিশেষ প্রতিনিধি।। নিষেধাজ্ঞা ২২ দিন শেষে মাছ শিকারে গেছেন কক্সবাজার উপকূলের লক্ষাধিক জেলে। দীর্ঘ বিরতির পর সাগরে ফিরতে পারায় দারুণ খুশি জেলেরা।
কক্সবাজারে বাঁকখালী নদীর মোহনা। এখানে নোঙর করা ছিল শত শত মাছ ধরার ট্রলার। হাতে গোনা কয়েকটি ছাড়া বাকি সব ট্রলার সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে মাছ শিকারে গেছে।
দীর্ঘদিন পর পুনরায় সাগরে যেতে পারে দারুণ খুশি জেলেরা। আর বরফ সংকটে যেসব ট্রলার উপকূল ছাড়েনি বিকেলের মধ্যে রওনা হবে বলে জানিয়েছেন জেলেরা।
আর জেলেদের মাছ শিকারে যাওয়াকে কেন্দ্র করে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের শ্রমিকদের মাঝে ফিরেছে কর্মব্যস্ততা।
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. এহছানুল হক জানিয়েছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই মাছ বেচাকেনায় সরগরম হয়ে উঠবে কেন্দ্রটি।
নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলার ৮টি উপজেলার প্রায় ৭ হাজারের বেশি ছোট-বড় মাছ ধরার ট্রলার উপকূল ছেড়েছে। এদিকে প্রজনন এলাকায় গত ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ২২ দিনের অবরোধ শেষে সাগরে ছুটছেন পিরোজপুরের জেলেরা। প্রায় এক মাস অলস সময় কাটানোর পর বুধবার মধ্য রাতের পরই সাগরের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন তারা।
ফিশিং ট্রলারে বরফ আর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বোঝাই করা নিয়েই ব্যস্ততা কেটেছে জেলেদের। তবে সব জেলে একসময়ে বরফ না পাওয়ায় আগামী ৩-৪ দিন ধরেই তারা পর্যায়ক্রমে সাগরে যাবে। আর আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সাগর থেকে মাছ ধরে ফিরতে পারবেন বলে আশা তাদের। তবে বর্ষা মৌসুমে আশানুরূপ মাছ না পাওয়ায় অনেকটা দুশ্চিন্তাও রয়েছে তাদের।
এরপরও পর্যাপ্ত মাছ পাবেন এই আশাতেই অবরোধ শেষে সাগরে ছুটছেন তারা। সাগরে মাছ ধরার জন্য পিরোজপুর থেকে শতাধিক ট্রলার জেলেদের নিয়ে সাগরে যাচ্ছে।