রাঙা প্রভাত ডেস্ক।। নীলফামারীর বাণিজ্যিক রাজধানী সৈয়দপুরে ঈদের পরে চলছে বিয়ের মৌসুম। ছয় দিনেই ৩০০শতাধিকের সম্পর্ন্ন হয়েছে। ডে ও নাইট আলাদা করে শহরের আটটি কমিউনিটি সেন্টার আগামী এক মাস বিয়ের জন্য বুক করা হয়ে গেছে। যারা কমিউনিটি সেন্টারের সিরিয়াল তারা পাড়ামহল্লা ও নিজ বাড়ি সাজিয় করছে বিয়ের আয়োজন। মঙ্গলবার থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ এর অধিক বিয়ের সম্পূর্ণ হয়েছে।
বিয়ে নিবন্ধনকারী কাজী, সৈয়দপুর শহরের কমিউনিটি সেন্টার, বিউটি পারলার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,বিয়ের ব্যাপারে তারা ব্যস্ত সময় পার করছে।বিয়ের উৎসবে বাঙালি-বিহারীর মিশ্র শহরে উদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিন থেকে মাসব্যাপি চলবে বিয়ের ঘুম। মাস ব্যাপী এই বিয়ের আয়োজন ৬/৭ শতাধিক পেরিয়ে যাবে। আসলে রমজান মাস পেরিয়ে ঈদের পরে বিয়ের জন্য শুভ দিন মান্য করে শহরবাসী। এজন্য সৈয়দপুরে ঈদের পর পরই শহর-গ্রামজুড়ে
ছেলেমেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নেয়।পৌর এলাকায় ছয়জন নিকাহ রেজিস্ট্রারের বাইরেও ইউনিয়ন পর্যায়ে নিকাহ রেজিস্ট্রার রয়েছেন। একই কথা বলেন শহরের অপর কাজী আনোয়ারুল শাহ ও কাজী জিয়াউর রহমা জিয়া। শহরে রয়েছে এরুপ ১৫টির মত কাজী
শহরজুড়ে একসঙ্গে অনেক বিয়ের অনুষ্ঠান থাকায় সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত সময় পার করছেন শহরের সব বিউটি পারলারগুলো। শহরের অন্যতম নামকরা হেভেনলি বিউটি পার্লার, নতুন বাবুপাড়ার চৈতি বিউটি পার্লারের চৈতি জানান, ঈদের পর থেকেই আমাদের এক দিনে তিন, চারটির অধিক বউ সাজাতে হচ্ছে। গত ৫ দিনে ২০ টার বেশি বউ সাজিয়েছি।
সৈয়দপুর বিউটি পার্লার এসোসিয়েশনের সভাপতি ও শহরের ড্রিম বিউটি পার্লারের কর্ণধার তাসলিমা সরকার জানান, শহরব্যাপি ৭০টিরও বেশি বিউটি পার্লার রয়েছে। এ সময় সবাই ব্যস্ত সময় পার করছি।
সৈয়দপুরের গোলাহাট এলাকার কন্যার পিতা জাভেদ হোসেন। জানান, শনিবার মেয়ের বিয়ে কিন্তু গত ১৫ দিন থেকে বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার ঘুরেও খালি পাইনি। ফলে বাধ্য হয়ে বাড়ির সামনে খোলা যায়গায় ডেকোরেট করে বিয়ের আয়োজন করেছি। এদিকে ডেকোরেটর সামগ্রী পাওয়াই মুশকিল হয়ে গেছে শহরে।
শহরের বাঁশবাড়ি এলাকার নাজনিন বেগম জানান, একটি ডেকোরেটর থেকে পুরো সামগ্রী পায়নি বলে ৪টি ডেকোরটর থেকে আলাদা আলাদা সামগ্রী নিয়ে বাড়ির সামনে সাজিয়েছি।
শহরের মাইক্রো ও কারচালকরাও আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত বুক রয়েছে। শহরের কাজীপাড়ার কারচালক মুন বলেন, আগামী চার দিন পর্যন্ত বিয়ের ভাড়া রিজার্ভ করা রয়েছে। বেশির ভাগ শহরের মধ্যে বিয়ের ভাড়া রয়েছে। একই দিনে তিন-চারটি বিয়ের ভাড়া আছে।
আগাম ভাড়াও নেওয়া হয়েছে।