নিজস্ব সংবাদদাতা।।পদ্মা সেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে আর বাকি মাত্র দু’টি স্প্যান। আজ শুক্রবার মাওয়া প্রান্তে সেতুতে বসানো হয়েছে ৩৯তম স্প্যান । মুন্সীগঞ্জের মাওয়া অংশে ১০ ও ১১ পিলারের ওপর বসানো হয় এটি। স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতুর পাঁচ হাজার ৮৫০ মিটার।
৩৮তম স্প্যান বসানোর ছয়দিনের মাথায় ৩৯তম স্প্যানটি বসানো হয়েছে। চলতি নভেম্বর মাসে এই নিয়ে সেতুতে মোট চারটি স্প্যান বাসানোর কাজ সম্পূর্ণ হলো। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মোঃ আব্দুর কাদের শুক্রবার দুপুর ১টায় তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার সকাল ১১টর মধ্যে কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেন তিয়াইন-ই ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩৯তম স্প্যানটি নিয়ে নির্ধারিত পিলারে পৌঁছে যায়।
কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে নির্ধারিত পিলার দু’টির দূরত্ব দেড় কিলোমিটার। ভাসমান ক্রেন এ দূরত্ব পাড়ি দেয়ার পর কারিগরি সমস্যা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আজ স্প্যানটি বসানো সম্পূর্ণ হয়েছে।
প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, ৩৯তম স্প্যানটি বসানো হয়ে গেছে বাকি থাকবে আর মাত্র দু’টি স্প্যান বাসানোর কাজ। ডিসেম্বর মাসে ১১ ও ১২ নম্বর পিলারে ৪০তম স্প্যান ‘২-ই’ ও ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারে ৪১তম স্প্যান ‘২-এফ’ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তাছাড়া স্প্যান বাসানো ছাড়াও অন্যান্য কাজ এগিয়ে চলছে। এরমধ্যে সেতুতে এক হাজার ৮৪৮টি রেলওয়ে ও এক হাজার ২৩৮টি রোড ওয়েস্ল্যাব বসানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হয়েছে সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালে এটি খুলে দেয়া হবে বলে জানা গেছে।