রাঙাপ্রভাত ডেস্ক।। পণ্য রপ্তানিতে পরিবহন খরচ গত তিন মাসে দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য খাতের রপ্তানিকারকরা বিপাকে পড়েছেন। তারা বলছেন, পণ্য রপ্তানিতে পরিবহন খরচ গত অক্টোবরে ২ হাজার ডলার পড়লেও বর্তমানে তা ৫ হাজার ডলার পড়ছে। করোনার কারণে ক্রয়াদেশে পণ্যের দাম কমিয়ে দেওয়ার পর পরই পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পুরো রপ্তানি আয়ে প্রভাব ফেলবে। তবে পরিবহন খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, লকডাউনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আন্তর্জাতিকভাবেই খরচ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
জানা গেছে, লকডাউনের কারণে বিভিন্ন দেশের রপ্তানি ও আমদানিকারকরা কার্গো সার্ভিস বিনানোটিশে বন্ধ করে দিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকার ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া নানা ধরনের প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিপূরণ দিলেও ফ্রাইট সার্ভিসগুলোকে ক্ষতিপূরণ বা প্রণোদনা দেয়নি। ফলে ফ্রাইট সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকটাই নাখোশ। বাংলাদেশ নিট ওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ফজলে শামীম এহসান বলেন, রপ্তানিকারকদের জন্য এটা বাড়তি বোঝা হয়ে গেছে। এমনিতেই বায়াররা দাম কমিয়ে দিয়েছেন। এখন বিকল্প পথ নেই বিধায় এটাই মেনে নিতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ ফ্রাইট ফরোয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে ৪০ ফুটের কন্টেইনার ইউরোপে পাঠাতে গড়ে ১ হাজার ৩০০ ডলার খরচ পড়লেও বর্তমানে এখন তা সাড়ে ৪ হাজার ডলার হচ্ছে। এদিকে চীন থেকে কাঁচামাল আনতে ৪০ ফুট কন্টেইনারের ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ ডলার খরচ পড়লেও বর্তমানে ৩ হাজার ৫০০ ডলার খরচ হচ্ছে।
বাংলাদেশ ফ্রাইট ফরোয়ার্ডস অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, করোনার সময় কোনো ব্যবসায়ীই পণ্য পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা করেনি। ফলে এখন জাহাজ মালিকরা সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এই ব্যবস্থা করছে। আশাকরি শিগগিরই এ সমস্যা থেকে বেরোতে পারব।
এদিকে ব্যবহার পণ্যের পাশাপাশি খাদ্য পণ্যের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে ফল ও দানা জাতীয় খাবার দক্ষিণ আফ্রিকা ও চীন থেকে বেশি আমদানি হয়; কিন্তু বর্তমানে ২০ কেজি খাদ্যপণ্যে ২ ডলার বা ১৭০ টাকা করে বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানায় ফল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।