বিশেষ প্রতিনিধি।। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায শরিফুল ইসলাম নাঈম (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ৩ মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) পাবনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিট্রেটের উপস্থিতিতে ঈশ্বরদীর কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে লাশ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত শরিফুল ইসলাম নাঈম (২৭) ঈশ্বরদী উপজেলার মশুরিয়া পাড়া এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে ঢাকায় কয়েকজন যুবক-যুবতি মদপানে অসুস্থ হয়ে পড়ে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ জানুয়ারি নাঈম মারা যায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রাজধানীর ভাটারা থানায় মামলা করে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই নাঈম এর লাশ দাফন করা হয়েছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লাশের ময়নাতদন্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। ফলে ঢাকার মহানগর মুখ্য হাকিম আদালত কবর থেকে লাশ তুলে ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দেন।
নিহত নাঈমের লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম, ঈশ্বরদী আমবাগান ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার ইসলাম ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল হক।
রাজধানীর ভাটারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল হক জানান, ঐ সময় ময়নাতদন্ত না হওয়ায় এখন করা হচ্ছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
রফিকুল হক আরও জানান, রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে ভেজাল মদ তৈরি চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। সে সময় মাদক তৈরির কারখানা থেকে প্লাস্টিক বোতল, কয়েক ড্রাম স্পিরিট, মিনারেল ওয়াটারের বোতল এবং সুগার সিরাপ জব্দ করে।