রাঙাপ্রভাত অনলাইন ডেস্ক।। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খালেদা জিয়াকে আকস্মিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি করার খবরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়।
মঙ্গলবার রাতে বিএনপি নেত্রীকে সাড়ে নয়টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিছু শারীরিক পরীক্ষা করানোর জন্য। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
গত ২৫শে এপ্রিল খালেদা জিয়ার দ্বিতীয়বারের মতো কোভিড ১৯ পরীক্ষা করা হলে সেখানেও তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
মঙ্গলবার রাতে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরে তাঁর চিকিৎসক দলের প্রধান অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্ত হবার পর ১৯ দিন অতিবাহিত হয়েছে।
চিকিৎসক অধ্যাপক সিদ্দিকী বলেন, “ওনার খুব ভালো রিকভারি হয়েছে। সেটা দেখতে চাচ্ছিলাম যে কেমন আছে। এর পাশাপাশি আমরা আরো কিছু ইনভেস্টিগেশন করতে চাই।
“আজকে যেহেতু এখানে রাত হয়ে গেছে অনেক, এবং সব ইনভেস্টিগেশন একসাথে করা অনেক জটিল এবং কষ্ট। সব ফ্যাসিলিটিজ এখন ছিলনা। আমরা কিছু ইনভেস্টিগেশন করেছি এবং ওনাকে আমরা টেম্পোরারি একটা এডমিশন দিয়ে রেখেছি এই কারণে যে আমাদের আরো কিছু পরীক্ষা বাকি রয়ে গেছে। “
“সে টেস্টগুলো আমরা কালকে করবো। এবং সেই টেস্টের রিপোর্ট রিভিউ করে আমরা আবার ওনাকে ইনশাআল্লাহ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবো। “
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার পরে গত ১৪ই এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার ফুসফুসের সিটি স্ক্যান করা হয়। তখন চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন যে খালেদা জিয়ার ফুসফুসে ভাইরাসের সংক্রমণ নূন্যতম।
গতরাতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকীর কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, খালেদা জিয়ার ফুসফুসের অবস্থা এখন কেমন আছে? এর জবাবে অধ্যাপক সিদ্দিকী বলেন, “ফুসফুস খুব সুন্দর ক্লিয়ার আছে।”