বিশেষ প্রতিনিধি।। বিয়ে করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। ৬৫ বছর বয়সী এই মন্ত্রী এবার বিয়ে করেছেন দিনাজপুরের মেয়ে শাম্মী আকতারকে। গত ৫ জুন উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শাম্মী আকতারের বড় ভাই মো. মিলন হোসেন।
বিরামপুর নতুন বাজারে তাদের বাসা। ওই এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের মেয়ে শাম্মী। তাঁরা দুই ভাই এক বোন। দুই ভাই বর্তমানে বিরামপুরের বাসায় থাকেন। বড় ভাই মিলন হোসেন ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী। অপরজন স্থানীয় ব্যবসায়ী। তাদের আগের বাড়ি ছিল পাবনায়।
বোনের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে মিলন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে ঘরোয়াভাবে শনিবার আমার বোনের সঙ্গে রেলমন্ত্রীর বিয়ে হয়েছে। বিয়েতে বরপক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিরামপুরের বিচারপতি ইজারুল হক ও তার স্ত্রী। কনে পক্ষে আমি ও আমার ভাই উপস্থিত ছিলাম। আনুষ্ঠানিকভাবে ছোট পরিসরে যতটুকু করা দরকার; সেভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়েছে।
শাম্মী আকতার বর্তমানে উত্তরাতে থাকেন জানিয়ে মিলন বলেন, আমার বোন উত্তরায় থাকে। ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অ্যাডমিনে চাকরি করতো। সে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে হাইকোর্টে এক সিনিয়রের সঙ্গে প্র্যাকটিস করছে। ক’দিন আগে আইন বিষয়ে পরমার্শ নিতে রেলমন্ত্রীর কাছে যায় আমার বোন। সেখানেই আমার বোনকে রেলমন্ত্রীর পছন্দ হয় এবং পরিবারের কাছে বিয়ের বিষয়ে প্রস্তাব দেন। এরপর পারিবারিকভাবে গত ৫ জুন তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। ডিসেম্বরে স্বামী রেলমন্ত্রী সুজনের বাড়িতে যাবেন।
শাম্মী আকতার রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের পূর্ব পরিচিত। বিয়েতে মন্ত্রীর পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিল না, অনেকটা পরিবারকে না জানিয়ে শুধুমাত্র বন্ধুদের নিয়ে বিয়ে সেরেছেন মন্ত্রী। শাম্মী আক্তারের আগেও বিয়ে হয়েছিল। ২০১১ সালে ডিভোর্স হয়েছে। সেই সংসারে তাঁর একটি কন্যা সন্তান আছে।
তবে মন্ত্রীর ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের ঘনিষ্টজনরা না জানায় মন্ত্রী ব্যাপারটি এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে কালের কণ্ঠের কথা হয়। বিয়ে করছেন, এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে এটি কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্ন শুনে মন্ত্রী হেসে দিয়ে বলেন, ‘বিয়ে তো করতেই চাই, কিন্তু পাত্রী খুঁজে পাচ্ছি না।’
শাম্মী আকতারের কথা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, অনেক মেয়েই দেখা হচ্ছে। শাম্মী তার পছন্দের তালিকায় রয়েছে। শাম্মীর ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। বিয়ে করেছেন কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, কেবল কথা বার্তা এগোচ্ছে। সময় হলে সব জানতে পারবেন।
নূরুল ইসলামের স্ত্রী নিলুফার জাহান ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন মারা যান। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে। তিন সন্তানেরই বিয়ে হয়েছে।
৬৫ বছর বয়সী নূরুল ইসলাম ১৯৫৬ সালের ৫ জানুয়ারি পঞ্চগড়ে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) আসন থেকে নবম, দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয়বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর রেলমন্ত্রী হিসেবে সরকারের মন্ত্রিসভায় যুক্ত হন।