এলিসন সুঙ, মৌলভীবাজার :- মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ১২জুন শনিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় হতে বিশেষ তহবিল থেকে জুড়ী উপজেলা অধীনে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি, শিক্ষা উপকরণ, বাইসাইকেল বিতরণ, পরিবেশ মন্ত্রীর ঐচ্ছিক তহবিলের চেক বিতরণ, এবং মসজিদ মন্দিরে অনুদান চেক বিতরণ অনুষ্ঠান হয়েছে। জুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম সঞ্চালনায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল- ইমরান রাহুল ইসলাম সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো:শাহাব উদ্দিন এমপি।বক্তব্য প্রধান অতিথি বলেন
জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে গাছের কোন বিকল্প নেই। এখন নিয়মিত বৃষ্টি হচ্ছে না, প্রচন্ড গরম হচ্ছে একমাত্র জলবায়ু পরিবর্তনগত কারণে এসব হচ্ছে। দেশে আগে অনেক গাছপালা ছিল। মানুষ এসব গাছপালা কেটে নিধন করে পরিবেশ ধ্বংস করে দিচ্ছে। একসময় বাংলাদেশের কোথাও বৃষ্টি না হলে, আমাদের মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল,কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখায় বৃষ্টি হতো। এখন জুড়ী নদী শুকনা। পরিবেশ রক্ষা করতে হলে সবাইকে কমপক্ষে তিনটি করে গাছ লাগাতে হবে। এ গাছের যে ফল আসবে সেটা আপনারা ভোগ করবেন। গাছ থেকে যে উপকারী অক্সিজেন পাওয়া যায়। সেটা টাকা দিয়ে কিনে পাওয়া যাবেনা। ক্লিন জুড়ী গ্রীন জুড়ীর জন্য আমরা একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। জুড়ী ও বড়লেখায় বজ্র ব্যবস্থাপনা স্থান নির্ধারণ করে সেখানে সার ও বিদুৎ উৎপাদন করবো। এ প্রকল্পের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, জুড়ীর লাঠিটিলায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পার্ক নির্মাণ কাজে প্রায় ১৫০০শ (পনেরো শত কোটি) ব্যয় করা হয়েছে। আপনারা হয়তো অনুমান করতে পারবেননা জুড়ী আর জুড়ী থাকবেনা। জুড়ী একটা আকর্ষণীয় উপজেলা হবে। সারা বাংলাদেশের মানুষ জুড়ী লাঠিটিলার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসবে। তিনি বলেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। গৃহহীনদের মুখে হাসি ফোটাতে সরকার বদ্ধপরিকর। দেশের অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের বিভিন্ন ভাতার মাধ্যমে সহযোগিতা করছে সরকার।করোনায় যখন সারা বিশ্বের উন্নয়ন বন্ধ রয়েছে ঠিক তখনই বাংলাদেশে উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত রয়েছে। ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। তাদের অধিকার রক্ষা ও নিশ্চিতকরণে সরকার বদ্ধপরিকর। আজকে যারা প্রধানমন্ত্রীর অনুদান পেয়েছো আশা করি তোমাদের পড়াশোনা কাজে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল হোসেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক, ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রঞ্জিতা শর্মা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফুলতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুক আহমদ, জেলা পরিষদ সদস্য বদরুল ইসলাম।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মামুনুর রশীদ সাজু, সাধারণ সম্পাদক শেখরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শ্রীকান্ত দাশ, জায়ফরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির দারা, পূর্ব জুড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, উপজেলা নৃ-গোষ্ঠীর সভাপতি ভাগ্য সিংহ ও সংবাদকর্মীবৃন্দ ।
অনুষ্ঠান শেষে মাধ্যমিক পড়ুয়া ২০জন ছাত্রীর জন্য ১টি করে বাইসাইকেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ১৭৩ জনের জন্য শিক্ষাবৃত্তি ও ১১৬ জনের জন্য শিক্ষা উপকরণ প্রদান করেন তিনি।