বিশেষ প্রতিনিধি।। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ৫ হাজার ৪৫২ জন সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির জন্য যোগ্য ৭ হাজার ২৭৫ জনের মধ্যে তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণায়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে তাদের পদোন্নতি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুবু হোসেন বলেন, ‘নানা জটিলতার পর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক থেকে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক পদোন্নতি দেওয়া হলো। পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষকরা এখন থেকে ৯ম গ্রেড বা প্রথম শ্রেণির গ্রেডে আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।’
জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশির মতামতের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক পদে পদোন্নতির জন্য জ্যেষ্ঠতা সমস্যা নিরসনে ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত মতামত দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দিয়ে বলেছিল, কৃষি শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা তাদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার তারিখ অর্থাৎ ২০০৪ সালের ২২ মে থেকে কার্যকর হবে। কিন্তু এটি চ্যালেঞ্জ করে কৃষি শিক্ষকেরা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করলে পদোন্নতি আটকে যায়।
কারণ, বিশেষ প্রক্রিয়ায় ১৯৯৫ সালে ৩৭৮ জন কৃষি শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছিলেন ১৪তম গ্রেডে। তাই তারা সেসময় ১৪তম গ্রেডে বেতন পেতেন। আর অন্য শিক্ষকরা পেতেন ১০ম গ্রেডে বেতন।
গত বছরের শেষ দিকে আবার পদোন্নতির উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তখন আরেক জটিলতা দেখা দেয়, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও কিছু শিক্ষককে পদোন্নতির তালিকাভুক্ত করার অভিযোগ ওঠে।
নিয়মানুযায়ী জ্যেষ্ঠ শিক্ষক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষক পদে অন্তত আট বছর চাকরি করতে হবে। সহকারী শিক্ষক পদে চাকরিতে প্রবেশের জন্য পাঁচ বছরের ব্যাচেলর অব এডুকেশন (বিএড) বা ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন (ডিপ ইন এডু) বা ব্যাচেলর অব এগ্রিকালচার এডুকেশন (বি এজ এডু) ডিগ্রি থাকতে হবে।
নানা কারণে অনেক শিক্ষক এই শর্তটি নির্ধারিত সময়ে অর্জন করতে পারেননি। শর্ত অর্জন না করা এমন প্রায় দেড় হাজার শিক্ষককে পদোন্নতির তালিকাভুক্ত করে মাউশি। এতে অর্ধ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) শিক্ষকরা অভিযোগ করলে আটকে যায় পদোন্নতির প্রক্রিয়া।