বিশেষ প্রতিনিধি।। পাবনার সাঁথিয়ায় উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের এক গৃহবধূর সাথে পরকিয়ার কারনে সালিশি বৈঠকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা গুনতে হলো চিকিৎসকের। ঘটনাটি ফাঁস হওয়ায় গৃহবধুর ঘর তালাবদ্ধ করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
সালিশি বৈঠকের ব্যক্তিবর্গ ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূর স্বামী বিদেশ থাকায় প্রায় তিন বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে একই উপজেলার যশোমন্ত দুলিয়া গ্রামের আলাইয়ের ছেলে ও ডি.এম.এফ চিকিৎসক শহিদুল্লাহ কায়সারের সাথে।
গত ১৫ আগস্ট সকালে প্রবাসীর স্ত্রী সুজানগরের চিনাখড়া বাজারে শহিদুল্লাহ চেম্বারের উপস্থিত হয়ে বিয়ের দাবি জানান এবং বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকী দিলে লোকজন দুইজনকে নিয়ে ওই রাতেই ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বাড়িতে সালিশি বৈঠক বসেন।
গভীর রাতে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর আলম পিনচু, সাঁথিয়া উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি কার্তিক চন্দ্র সাহা, ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা আ:মান্নান, ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আয়নাল হকসহ জনৈক ব্যক্তি বর্গ।
এদিকে গৃহবধূর বাবা অভিযোগ করেন, অনেক আগে থেকেই মেয়ের পিছু লেগেছিল শহিদুল্লাহ।চেয়ারম্যান রবিবার রাতে সালিসে আমার মেয়েকে মারপিট ও করেছে। সে এখন অসুস্থ। সালিসি বোর্ড সূত্রে আরও জানা যায় ২০১৯ সালে এই গৃহবধূ ও শহিদুল্লাহকে আটক করে এলাকাবাসী এবং সে সময়ও শহিদুল্লাহর নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এব্যাপারে শহিদুল্লাহ কায়সারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,এখোন আপনাদের সাথে কথা বলা সময় নেই।
ইউপি চেয়ারম্যান মুনসুর আলম পিনচু সালিশি বৈঠকে থাকা ইউপি সদস্য আয়নাল হক, মজিবর রহমান জানান,
রাতে সালিসি বৈঠকে শহিদুল্লাহকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। প্রথমে জরিমানা দিতে রাজি না হওয়ায় তার মোটরবাইক আটকিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়। গৃহবধূকে তার বাবার নিকট তুলে দেওয়া হয়েছে।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, গভীর রাতে সালিশি বৈঠকের বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয় নাই। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।